ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চৈত্রের খরায় পুড়ছে উত্তরজনপদ, নলকূপেও মিলছে না পানি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

উত্তরজনপদের নীলফামারী জেলায় প্রচন্ড খরায় জমিতে পাটল দেখা দিয়েছে: ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাথার ওপরে নির্ভেজাল আকাশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কাপপ্রবাহ। বিদায়ের পথে পা বাড়াচ্ছে চৈত্র মাস। ২০ চৈত্রে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গ্রামীণ জনপদে তাপ অনুভূত হয় অনেক বেশি।

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের এখন পুরোদমে বোরো চাষে সেচ কাজ চলছে। কিন্তু অনেক স্থানে নলকূপে পানি ওঠছে না। খরায় সেচ সংকট মাথা তুলছে।

নীলফামারীতে এই সংকট প্রকট। জেলার কিছু অঞ্চলে ধানের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলেও পানি মিলছে না।

কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অনাবৃষ্টি কারণে সেচের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য কৃষককসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। নীলফামারী জেলায় এবার ৮১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জমিতে বোরো ধানের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা। সেচ না থাকায় জমিতে ফাটল ধরেছে। বাসিন্দারা অনেকে দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করেন অনেকে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বছর এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৪ মিলিমিটার হলেও চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৫ মিলিমিটার। তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

বাড়তি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচে সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার পানিও সহজে মিলছে না টিউবওয়েলে।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরের বাসিন্দারা জানান, তাদের উপজেলায় সেচ ও পানের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় বোরো জমিতে পানি থাকা খুবই প্রয়োজন।

স্থানীয়রা জানান, চৈত্রের এই সময়ে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি। খেত-খামারে কৃষকদের কাজকর্মে হাঁসফাঁস অবস্থা। রিকশা, ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবীরা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চৈত্রের খরায় পুড়ছে উত্তরজনপদ, নলকূপেও মিলছে না পানি

আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

মাথার ওপরে নির্ভেজাল আকাশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কাপপ্রবাহ। বিদায়ের পথে পা বাড়াচ্ছে চৈত্র মাস। ২০ চৈত্রে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গ্রামীণ জনপদে তাপ অনুভূত হয় অনেক বেশি।

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের এখন পুরোদমে বোরো চাষে সেচ কাজ চলছে। কিন্তু অনেক স্থানে নলকূপে পানি ওঠছে না। খরায় সেচ সংকট মাথা তুলছে।

নীলফামারীতে এই সংকট প্রকট। জেলার কিছু অঞ্চলে ধানের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলেও পানি মিলছে না।

কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অনাবৃষ্টি কারণে সেচের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য কৃষককসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। নীলফামারী জেলায় এবার ৮১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জমিতে বোরো ধানের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা। সেচ না থাকায় জমিতে ফাটল ধরেছে। বাসিন্দারা অনেকে দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করেন অনেকে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বছর এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৪ মিলিমিটার হলেও চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৫ মিলিমিটার। তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

বাড়তি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচে সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার পানিও সহজে মিলছে না টিউবওয়েলে।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরের বাসিন্দারা জানান, তাদের উপজেলায় সেচ ও পানের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় বোরো জমিতে পানি থাকা খুবই প্রয়োজন।

স্থানীয়রা জানান, চৈত্রের এই সময়ে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি। খেত-খামারে কৃষকদের কাজকর্মে হাঁসফাঁস অবস্থা। রিকশা, ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবীরা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেছেন।