ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীন থেকে ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় এখনই সম্ভব

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজে লাগিয়ে এখনই চীনে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগালে রপ্তানি ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। চীনের বাজারের আকার ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশের সক্ষমতার সবটা কাজে লাগাতে হবে’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের বাজারে দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। চীনের বাজারের আকার ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশের সক্ষমতার সবটা কাজে লাগাতে পারলে দেশটিতে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি অন্তত তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব।

ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দু’দশের মধ্যে কোভিড পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনায় এমন সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন অধ্যাপক রাজ্জাক।

বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজে লাগিয়ে এখন চীনে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগালে রপ্তানি ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।

‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অব দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেনডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক রাজ্জাক।

কোভিডের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে চীন থেকে সরাসরি বিনিয়োগ নিয়ে আসা, উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো, পণ্যের বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেওয়া এবং চীন থেকে বেরিয়ে পড়া ব্যবসাগুলোকে বাংলাদেশে টানার পরামর্শ দেন এই গবেষক।

চীন থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১বিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যের পণ্য। ফলে চীন যত পণ্য আমাদানি করে তাতে বাংলাদেশের অংশ মাত্র দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। চীনের বাজারের মাত্র এক শতাংশের অংশীদার হতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানির ঝুঁড়িতে নতুন করে যুক্ত হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের অনেক কাঁচামাল চীন থেকে আসে। আবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে পোশাক পণ্য প্রবেশ করে।

এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারেও এখন পোশাকপণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের উচিত সেই সুযোগটিও কাজে লাগানো। চীনের মোট অভ্যন্তরীণ পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশ অংশিদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু ভিয়েতনামের রয়েছে ১৯ শতাংশ। কম্বোডিয়ার অংশিদারিত্ব দ্রুত বাড়ছে তারা ৫ শতাংশ বাজারের অংশিদার। এখানে আমাদের কিছু করতে হবে।

অধ্যাপক রাজ্জাক বলেন, চীন বাংলাদেশে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও এসেছে মাত্র ২০০ কোটি ডলার। চীনের আরও যেসব বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

চীন ইতোমধ্যেই কম্বোডিয়ায় ৬০০ কোটি, মিয়ানমারে ৭০০ কোটি, পাকিস্তানে একহাজার ২০০ কোটি, ভিয়েতনামে একহাজার ৮০০ কোটি, মালয়েশিয়ায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি, ইন্দোনেশিয়ায় ৩ হাজার ২০০ কোটি ও ভারতে একহাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে তাদের আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

চীন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি থেকে একধাপ এগিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আওটিসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবসায় যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান প্রযুক্তিগুলো তারা আশাপাশের দেশে স্থানান্তর করবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এসব উদ্যোগ টেনে আনতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্নফুলি টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা লি জিমিং

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, মহামারীর শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে সংহতির স্মারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেডিকেল পণ্যের বড় চালান পাঠিয়েছিলেন চীনের জনগণের জন্য। চীন সেকথা কখনও ভুলে যাবে না। চীনও বিভিন্ন রকম মেডিকেল পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাস দুই দেশের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের শুল্ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে চীন-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৩ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ও চীনের অনেক ব্যবসায়ী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“চীন ইতোমধ্যেই বর্তমান বছরের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ও ভালো করতে শুরু করেছে। চীনের জিডিপি ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে। চীন এখন আমদানি ও রপ্তানিতে ভালো করছে। এখন চীনের নতুন নতুন বিনিয়োগকারী প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করার জন্য।”

ওষুধ, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হ্যান্ডিক্র্যাফট, সিরামিকস ও স্বাস্থ্যখাতে আরও আমরা আরও বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ।

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চীন থেকে ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় এখনই সম্ভব

আপডেট সময় : ১০:০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

‘বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজে লাগিয়ে এখনই চীনে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগালে রপ্তানি ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। চীনের বাজারের আকার ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশের সক্ষমতার সবটা কাজে লাগাতে হবে’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের বাজারে দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। চীনের বাজারের আকার ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশের সক্ষমতার সবটা কাজে লাগাতে পারলে দেশটিতে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি অন্তত তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব।

ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দু’দশের মধ্যে কোভিড পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক আলোচনায় এমন সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন অধ্যাপক রাজ্জাক।

বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজে লাগিয়ে এখন চীনে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগালে রপ্তানি ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।

‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অব দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেনডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক রাজ্জাক।

কোভিডের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে চীন থেকে সরাসরি বিনিয়োগ নিয়ে আসা, উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো, পণ্যের বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেওয়া এবং চীন থেকে বেরিয়ে পড়া ব্যবসাগুলোকে বাংলাদেশে টানার পরামর্শ দেন এই গবেষক।

চীন থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১বিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যের পণ্য। ফলে চীন যত পণ্য আমাদানি করে তাতে বাংলাদেশের অংশ মাত্র দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। চীনের বাজারের মাত্র এক শতাংশের অংশীদার হতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানির ঝুঁড়িতে নতুন করে যুক্ত হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের অনেক কাঁচামাল চীন থেকে আসে। আবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে পোশাক পণ্য প্রবেশ করে।

এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারেও এখন পোশাকপণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের উচিত সেই সুযোগটিও কাজে লাগানো। চীনের মোট অভ্যন্তরীণ পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশ অংশিদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু ভিয়েতনামের রয়েছে ১৯ শতাংশ। কম্বোডিয়ার অংশিদারিত্ব দ্রুত বাড়ছে তারা ৫ শতাংশ বাজারের অংশিদার। এখানে আমাদের কিছু করতে হবে।

অধ্যাপক রাজ্জাক বলেন, চীন বাংলাদেশে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও এসেছে মাত্র ২০০ কোটি ডলার। চীনের আরও যেসব বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

চীন ইতোমধ্যেই কম্বোডিয়ায় ৬০০ কোটি, মিয়ানমারে ৭০০ কোটি, পাকিস্তানে একহাজার ২০০ কোটি, ভিয়েতনামে একহাজার ৮০০ কোটি, মালয়েশিয়ায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি, ইন্দোনেশিয়ায় ৩ হাজার ২০০ কোটি ও ভারতে একহাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে তাদের আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

চীন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি থেকে একধাপ এগিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আওটিসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবসায় যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান প্রযুক্তিগুলো তারা আশাপাশের দেশে স্থানান্তর করবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এসব উদ্যোগ টেনে আনতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্নফুলি টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা লি জিমিং

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, মহামারীর শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে সংহতির স্মারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেডিকেল পণ্যের বড় চালান পাঠিয়েছিলেন চীনের জনগণের জন্য। চীন সেকথা কখনও ভুলে যাবে না। চীনও বিভিন্ন রকম মেডিকেল পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাস দুই দেশের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের শুল্ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে চীন-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৩ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ও চীনের অনেক ব্যবসায়ী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“চীন ইতোমধ্যেই বর্তমান বছরের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ও ভালো করতে শুরু করেছে। চীনের জিডিপি ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে। চীন এখন আমদানি ও রপ্তানিতে ভালো করছে। এখন চীনের নতুন নতুন বিনিয়োগকারী প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করার জন্য।”

ওষুধ, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হ্যান্ডিক্র্যাফট, সিরামিকস ও স্বাস্থ্যখাতে আরও আমরা আরও বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ।

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা বক্তব্য রাখেন।