ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করেনি বাংলাদেশ

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের কোয়াড নিয়ে চীনের বক্তব্যকে আগ বাড়িয়ে কথা বলা হিসেবে বর্ণনা মন্তব্য করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, চীনের কাছ থেকে এমন বক্তব্য দুঃখজনক। তবে, বেইজিংয়ের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছে ঢাকা। বিদেশমন্ত্রী ড. মোমেনের সাফ কথা, আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে চীন। তবে এনিয়ে এখনই চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিদেশমন্ত্রী।

চীনের মন্তব্যে একদিনের মাথায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিক বৈঠকে যুক্ত হয়ে ড. মোমেন এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা কী কাজ করব না করব, আমাদের মৌলিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমরা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।

এসময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ভারতকে গ্যাস দিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছিলো জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এক সময় আমেরিকানরা জোর দিয়ে বলেছিল ইন্ডিয়াকে গ্যাস দিতে হবে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার মতো শক্তিকে বলেছিলেন, আমি আমার দেশের লোকের ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ করার পরে চিন্তা করবো কাকে দেবো, কাকে দেবো না। আপনি বলার কে? আমেরিকা বলার পরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছিলেন।

বিদেশমন্ত্রী বলেন, অন্যরা যাই বলুক না কেন আমরা আমাদের মতো চলবো। আমরা খুব ভাগ্যবান যে, এরকম একজন লিডার পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থেই কাজ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট কোয়াড-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের একদিনের মাথায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিক বৈঠকে এসে একথা বলেন ড. মোমেন। এসময় তিনি আরও বলেন, চীনের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ আশা করিনি। এটা দুঃখজনক।

ড. মোমেন আরও বলেন, যেকোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা কি কাজ করব না করব সেটা আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের যে মৌলিক অবস্থান তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারা যাই বলুক না কেন। চীনকে কোনো বার্তা দেওয়া হবে কিনা জাতে চাইলে বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমরা কী করি, না করি সব মিডিয়াকে বলি না। আমরা জানি, আমরা কী করব। সবকিছু বলে দিলে তো হয় না।

এমনিতে চীন কখনো অন্যের বিষয়ে নাক গলায় না। আর এ রকম কখনো কাউকে বলতে শুনিনি। আমরা কী করব, না করব সেটা আরেকজন বড় করে বলছেন। দেশের মঙ্গলের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই আমরা করব। চীনের কাছ থেকে আমরা এই ব্যবহার আশা করিনি। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চীনের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করেনি বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের কোয়াড নিয়ে চীনের বক্তব্যকে আগ বাড়িয়ে কথা বলা হিসেবে বর্ণনা মন্তব্য করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, চীনের কাছ থেকে এমন বক্তব্য দুঃখজনক। তবে, বেইজিংয়ের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছে ঢাকা। বিদেশমন্ত্রী ড. মোমেনের সাফ কথা, আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে চীন। তবে এনিয়ে এখনই চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিদেশমন্ত্রী।

চীনের মন্তব্যে একদিনের মাথায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিক বৈঠকে যুক্ত হয়ে ড. মোমেন এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা কী কাজ করব না করব, আমাদের মৌলিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমরা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।

এসময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ভারতকে গ্যাস দিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছিলো জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এক সময় আমেরিকানরা জোর দিয়ে বলেছিল ইন্ডিয়াকে গ্যাস দিতে হবে। সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার মতো শক্তিকে বলেছিলেন, আমি আমার দেশের লোকের ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ করার পরে চিন্তা করবো কাকে দেবো, কাকে দেবো না। আপনি বলার কে? আমেরিকা বলার পরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছিলেন।

বিদেশমন্ত্রী বলেন, অন্যরা যাই বলুক না কেন আমরা আমাদের মতো চলবো। আমরা খুব ভাগ্যবান যে, এরকম একজন লিডার পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থেই কাজ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট কোয়াড-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের একদিনের মাথায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিক বৈঠকে এসে একথা বলেন ড. মোমেন। এসময় তিনি আরও বলেন, চীনের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ আশা করিনি। এটা দুঃখজনক।

ড. মোমেন আরও বলেন, যেকোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা কি কাজ করব না করব সেটা আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের যে মৌলিক অবস্থান তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারা যাই বলুক না কেন। চীনকে কোনো বার্তা দেওয়া হবে কিনা জাতে চাইলে বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমরা কী করি, না করি সব মিডিয়াকে বলি না। আমরা জানি, আমরা কী করব। সবকিছু বলে দিলে তো হয় না।

এমনিতে চীন কখনো অন্যের বিষয়ে নাক গলায় না। আর এ রকম কখনো কাউকে বলতে শুনিনি। আমরা কী করব, না করব সেটা আরেকজন বড় করে বলছেন। দেশের মঙ্গলের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই আমরা করব। চীনের কাছ থেকে আমরা এই ব্যবহার আশা করিনি। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে।