চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে করোনার ওষুধ সেবন নয়

- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ ২৫১ বার পড়া হয়েছে
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করোনার ‘মলনুপিরাভির’ ওষুধ সেবন নয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
জরুরী ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে ‘মলনুপিরাভির’ করোনার ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেছেন, ‘করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউই)’ দিয়েছে।
ওষুধটি ব্যবহারের ব্যাপারে ন্যাশনাল গাইডলাইন কমিটি বৈঠক করে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবে। এর আগে নতুন ওষুধটি (এন্টিভাইরাল) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ যেন ব্যবহার না করেন কিংবা কোথাও যেন বিক্রি না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলে দিয়েছেন তিনি।
এর আগে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদনের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউ-টিক্যালস এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস মলনুপিরাভির উৎপাদনে ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন বা ইইউএ পেয়েছে। এছাড়াও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ, রেডিয়েন্ট ফার্মা এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এই ৭টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইইউএ প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সোমবার মলনুপিরাভির (আইএনএন২০০ এমজি) এর
মার্কেটিং অথরাইজেশন বেক্সিমকোর অনুকূলে ইইউএ প্রদান করা হয়। আর মঙ্গলবার স্কয়ার এবং মেসার্স এসকেএফ’কে ইইউএ প্রদান করা হয়েছে। আরও সাতটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইইউএ’র প্রাথমিক প্রক্রিয়া (রেসিপি) সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি (এমএইচআরএ) বহুজাতিক কোম্পানি মার্ক কর্তৃক উদ্ভাবিত মলনুপিরাভির (আইএনএন২০০ এমজি) ক্যাপসুল ডোজেজ ফর্মে অনুমোদন দিয়েছে। এটি করোনার মাইল্ড অ্যান্ড মডারেট রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ হিসেবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হওয়ায় এমএইচআরএ অনুমোদন দিয়েছে। ওষুধটি ৮০০ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার পাঁচদিন সেবন করতে হবে।