চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে ফের উত্তেজনা, ৩ বাংলাদেশি আহত

- আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এলাকায় এই উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত’র খবর জানায় বিজিবি।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, এদিন দুপুরে সীমান্তে শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে গম কাটতে গিয়েছিলেন তারা। তখন ভারতীয় নাগরিকেরা এসে বাংলাদেশের ভেতরের কয়েকটি আমগাছ কেটে দেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হাঁসুয়ার আঘাতে ও ছোড়া পাথরে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন।
বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, চৌকা ও কিরণগঞ্জ ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্ত পিলার ১৭৭ বরাবর বাংলাদেশের ভেতরে কিছু আমগাছ ছিল। সেই আমগাছ কাটা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তখন শূন্যরেখা বরাবর দুই দেশের নাগরিকেরা দাঁড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয় এবং তারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে বিকেল চারটা নাগাদ বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়। যেখানে এ ঘটনার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি গাছ কাটার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিজিবি কমান্ডার জানান, উচ্ছৃঙ্খল লোকজন নিয়ন্ত্রণে বিএসএসফ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
বিজিবি কমান্ডার বলেন, এ ঘটনার সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে আছেন। কেউ যাতে শূন্য রেখা অতিক্রম না করে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিজিবি প্রস্তুত আছে। বিজিবির পাশে দেশপ্রেমিক জনগণও আছেন।
এর আগে চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিলো। তখন চৌকা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।
স্থানীয় বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. বাদশা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে গম কাটা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় ভারতীয়দের হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ নামোটোলা এলাকার যুবক মেসবাহুল হক তিনি বলেন, তিনিসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন। অন্য দুজনের মধ্যে বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. রনি ভারতীয়দের ছোড়া পাথরের আঘাতে ও মো. ফারুক হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন।