ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ৩০ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলে গেলেন পান্না কায়সার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

পান্না কায়সার ছবি: সংগৃহীত

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার (সাইফুন্নাহার চৌধুরী) আর নেই। মৃত্যুকালে তকার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের জীবনসঙ্গিনী।
১৯৫০ সালো ২৫ মে পান্না কায়সার জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একসময় তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।

মা হিসেবে পান্না কায়সার অনুভব করতেন, একটি বাসযোগ্য মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে গড়ে তুলতে হবে এ দেশের শিশু-কিশোরদের। শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলার ব্রতে আমৃত্যু অটল ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদুল্লাহ কায়সারকে ধরে নিয়ে যায় কুখ্যাত আলবদর বাহিনী। তিনি আর ফিরে আসেননি।

এর মধ্যে তার দুই সন্তান শমী কায়সার আর অমিতাভ কায়সার জন্মগ্রহণ করেছে। দুই সন্তান নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলার সঙ্গে পান্না কায়সারের জীবনসংগ্রাম শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চলে গেলেন পান্না কায়সার

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার (সাইফুন্নাহার চৌধুরী) আর নেই। মৃত্যুকালে তকার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের জীবনসঙ্গিনী।
১৯৫০ সালো ২৫ মে পান্না কায়সার জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একসময় তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।

মা হিসেবে পান্না কায়সার অনুভব করতেন, একটি বাসযোগ্য মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে গড়ে তুলতে হবে এ দেশের শিশু-কিশোরদের। শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলার ব্রতে আমৃত্যু অটল ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদুল্লাহ কায়সারকে ধরে নিয়ে যায় কুখ্যাত আলবদর বাহিনী। তিনি আর ফিরে আসেননি।

এর মধ্যে তার দুই সন্তান শমী কায়সার আর অমিতাভ কায়সার জন্মগ্রহণ করেছে। দুই সন্তান নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলার সঙ্গে পান্না কায়সারের জীবনসংগ্রাম শুরু হয়।