ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক মানবিক পিতা এরশাদ আলী মোড়লের গল্প আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাসিনা সরকারের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের পর জব্দ করা অর্থ জনকল্যানে ব্যয় করা হবে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ: মামুনুল হক ভারতের বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান গভীর রাতে ঢাকাসহ যে ১৫ অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির আভাস বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল গ্রেপ্তার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে ১৭জন আটক ফারাক্কাই দায়ী: বরেন্দ্র অঞ্চল কারবালায় পরিণত : ফরিদা আখতার

চলতি বছরেও ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন দুই হাজার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১ ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফাইল ছবি

‘এখনো পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে’ চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দুই হাজার শিক্ষার্থী ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দিয়ে আসছে ভারত সরকার।

উল্লেখ থাকে যে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এখনো পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
এ বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, গুলশান শাখা সরাসরি বৃত্তির টাকা হস্তান্তর শুরু করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চলতি বছরেও ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন দুই হাজার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

ফাইল ছবি

‘এখনো পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে’ চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দুই হাজার শিক্ষার্থী ভারতের বৃত্তি পাচ্ছেন।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দিয়ে আসছে ভারত সরকার।

উল্লেখ থাকে যে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এখনো পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট দুই হাজার শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
এ বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, গুলশান শাখা সরাসরি বৃত্তির টাকা হস্তান্তর শুরু করবে।