ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসায় সেনাবাহিনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০ ৫২৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক :  বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়েন দেশের গর্ব সেনাবাহিনী। করোনার বিস্তার রুখতে শুরু থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। অসহায় মানুষের বাড়ি ত্রাণ পৌছে দেয়া,  এক মিনিটের বাজার, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মাইকিং ও জনসচেতনা তৈরিতে নিয়মিত টহল, গ্রামগঞ্জের মানুষের যে কোন সমস্যায় স্বেচ্ছাশ্রমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এবারে সর্বানাশা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় যখন উপকূল অঞ্চল বিধ্বস্ত, তখনই আকাশ পথে উড়ে গিয়ে উদ্ধারে ঝাপিয়ে পড়েন। পাশাপাশি ত্রাণ এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হন। অবশ্য বুধবার প্রবলবৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা সেনাবাহিনীর চিকিৎসক দল সাতক্ষীরা উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এযেন নিদানকালের কান্ডারি। সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে সাধারণ মানুষ আশায় বুকে বাধেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এর দিক নির্দেশনায় পূর্ব থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাসমূহ অসামরিক প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ করছেন। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাসমূহে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত স্থানসমূহে খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২,৫০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রয়েছে। একই সাথে করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০২৭টি যানবাহনের সমন্বয়ে মোট ৫৩১টি টহল ৬২টি জেলায় অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় প্রেরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ সকল টহল দল এবং ইউনিটসমুহ প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য অসামরিক প্রশাসন এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী ঘূণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপদ পানি পান নিশ্চিত করার জন্য সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও খুলনাতে পানিবিশুদ্ধ করণ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছ্।ে এপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর বাঁধ র্পূণ র্নিমাণ কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কাজে সহায়তা জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে গমন করেছে। নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ এলসিইউ-৩ ৬০০ প্যাকেট নিয়ে ভোলা এবং এলসিইউ-৪ ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে হাতিয়া উদ্দেশ্যে গমন করে। এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অন্যান্য জাহাজগুলো দূর্গত এলাকায় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য যাত্রা করবে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে কপোতাক্ষ ২০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পটুয়াখালি এবং পদ্মা ৩৫০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ১টি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, ১টি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং ১টি বেল-২১২ হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালি, ঝালকাঠি, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের উদ্দেশ্যে দ্রুততার সহিত পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বাস্তবচিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষে পেশ করেছে। এছাড়াও ১১৯ জন বিমান বাহিনীর সদস্যের (৪ জন কর্মকর্তা, ৮১ জন বিমানসেনা ও ৩৪ জন অসামরিক সদস্য) একটি টিম আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিমান বাহিনীর নিজস্ব পরিবহনে সাতক্ষীরায় গমন করেন।
উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার সবদা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনসহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের জন্য অপস্ রুম খোলা আছে। শুক্রবার দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার (পিএসও) এবং দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসায় সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক :  বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়েন দেশের গর্ব সেনাবাহিনী। করোনার বিস্তার রুখতে শুরু থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। অসহায় মানুষের বাড়ি ত্রাণ পৌছে দেয়া,  এক মিনিটের বাজার, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মাইকিং ও জনসচেতনা তৈরিতে নিয়মিত টহল, গ্রামগঞ্জের মানুষের যে কোন সমস্যায় স্বেচ্ছাশ্রমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এবারে সর্বানাশা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় যখন উপকূল অঞ্চল বিধ্বস্ত, তখনই আকাশ পথে উড়ে গিয়ে উদ্ধারে ঝাপিয়ে পড়েন। পাশাপাশি ত্রাণ এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হন। অবশ্য বুধবার প্রবলবৃষ্টি ও ঝড় উপেক্ষা সেনাবাহিনীর চিকিৎসক দল সাতক্ষীরা উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এযেন নিদানকালের কান্ডারি। সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে সাধারণ মানুষ আশায় বুকে বাধেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এর দিক নির্দেশনায় পূর্ব থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাসমূহ অসামরিক প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ করছেন। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাসমূহে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত স্থানসমূহে খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২,৫০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রয়েছে। একই সাথে করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০২৭টি যানবাহনের সমন্বয়ে মোট ৫৩১টি টহল ৬২টি জেলায় অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় প্রেরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ সকল টহল দল এবং ইউনিটসমুহ প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য অসামরিক প্রশাসন এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী ঘূণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপদ পানি পান নিশ্চিত করার জন্য সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও খুলনাতে পানিবিশুদ্ধ করণ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছ্।ে এপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর বাঁধ র্পূণ র্নিমাণ কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কাজে সহায়তা জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে গমন করেছে। নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ এলসিইউ-৩ ৬০০ প্যাকেট নিয়ে ভোলা এবং এলসিইউ-৪ ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে হাতিয়া উদ্দেশ্যে গমন করে। এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অন্যান্য জাহাজগুলো দূর্গত এলাকায় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য যাত্রা করবে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে কপোতাক্ষ ২০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পটুয়াখালি এবং পদ্মা ৩৫০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ১টি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, ১টি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং ১টি বেল-২১২ হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালি, ঝালকাঠি, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের উদ্দেশ্যে দ্রুততার সহিত পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বাস্তবচিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষে পেশ করেছে। এছাড়াও ১১৯ জন বিমান বাহিনীর সদস্যের (৪ জন কর্মকর্তা, ৮১ জন বিমানসেনা ও ৩৪ জন অসামরিক সদস্য) একটি টিম আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিমান বাহিনীর নিজস্ব পরিবহনে সাতক্ষীরায় গমন করেন।
উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার সবদা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনসহ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের জন্য অপস্ রুম খোলা আছে। শুক্রবার দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার (পিএসও) এবং দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন।