ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় চার জেলায় বেশি ক্ষতি, মৃত ১০
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০ ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় ২৬ উপকূল জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে ২৬ জেলার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। ঝড়ে মারা গেছেন ১০ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে। ঘরবাড়ি সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫০০ বান্ডিল ঢেউ টিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা।
তিনি বলেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে, প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০টি ব্রিজ ও কালভার্ট। যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেরি বাঁধ ধ্বসে গেছে। ৮৪টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুক্রবার থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। উপকূলের কয়েক লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন সমূহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামতে হাত দেয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল, তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাছের ঘের ভেসে গেছে। তাতে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ চিংড়ি ঘের ক্ষতি হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। গণপূর্ত বিভাগের কিছুটা ক্ষতির কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।