ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুরুত্বপূর্ণ দুই মেগাপ্রকল্প ১০ বছর আটকা অসন্তোষ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর প্রায় ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে
যা ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে

ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দাদের জন্য আর্শিবাদতুল্ল দু’টি মেগাপ্রকল্প সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩ ও মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দুটির কাজ দীর্ঘ ১০ বছর আটকে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্প দু’টির অগ্রগতি জানতে রোববার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রকল্প দু’টির আটক থাকার বিষয়ে অবহিত হবার পর বিস্ময় প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রায় ১০ বছর আটকে আছে! অথচ ঢাকা শহরের মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে দিনদিন আমরা পরিবেশকে বিরাট হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। সংকট থেকে উত্তরণের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও সে কাজটি এত বছর ধরে করা হয়নি।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প দুটি শুরু করতে কোথায় বাধা, তা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি খরচ কমানোর বিষয়েও আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা শহরে মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে আসে।

দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর প্রায় ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। এ সংকট মোকাবেলায় প্রকল্প দুটি নেওয়া হয়। এতে সহায়তা করছে জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মেঘনা নদী বাঁচানোর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তা না হলে এ এলাকার জনজীবন বাঁচানো যাবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গুরুত্বপূর্ণ দুই মেগাপ্রকল্প ১০ বছর আটকা অসন্তোষ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর প্রায় ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে
যা ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে

ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দাদের জন্য আর্শিবাদতুল্ল দু’টি মেগাপ্রকল্প সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩ ও মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দুটির কাজ দীর্ঘ ১০ বছর আটকে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্প দু’টির অগ্রগতি জানতে রোববার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রকল্প দু’টির আটক থাকার বিষয়ে অবহিত হবার পর বিস্ময় প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রায় ১০ বছর আটকে আছে! অথচ ঢাকা শহরের মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে দিনদিন আমরা পরিবেশকে বিরাট হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। সংকট থেকে উত্তরণের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও সে কাজটি এত বছর ধরে করা হয়নি।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প দুটি শুরু করতে কোথায় বাধা, তা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি খরচ কমানোর বিষয়েও আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা শহরে মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে আসে।

দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর প্রায় ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। এ সংকট মোকাবেলায় প্রকল্প দুটি নেওয়া হয়। এতে সহায়তা করছে জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মেঘনা নদী বাঁচানোর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তা না হলে এ এলাকার জনজীবন বাঁচানো যাবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।