ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গারো পাহাড়ে দুবৃত্তের আগুনে, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের বনভূমির ঝরাপাতায় আগুন ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর সীমান্ত পথের দুই পাশের শাল-গজারি বাগানের ঝরাপাতায় আগুন লেগে পুড়ছে বনের গুল্ম লতাসহ ছোটছোট চারাগাছ, এমনকি উপকারি কীটপতঙ্গ পর্যন্ত মরে ছাই হয়ে যাচ্ছে।

চৈত্রের খরতাপের ঝরাপাতায় লাগা আগুনের শিখা বনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে।

সেখান থেকে কুণ্ডুলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। বনের এক প্রান্তে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে যখন ব্যস্ত, তখন অন্যপ্রান্তে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে হুমকিতে পড়েছে বনের জীববৈচিত্র্য।

স্থানীয়রা বাসিন্দাদের অভিযোগ জানান, পাহাড়ে আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বনের মূল্যবান গাছ চুরি করছে একটি চক্র। অসাধু বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরাও অসৎ উদ্দেশে বনের ভিতর আগুন দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করছে।

ঝিনাইগাতীর রাংটিয়ার বাসিন্দা প্রশ্ন মারাক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বনের ভিতরে এভাবে আগুন লাগিয়ে দিলে পশু-পাখি ভয়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে বনের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে। দুর্বৃত্তরা যাতে বনের এই ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে বনবিভাগের আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

গহান্ধিগাঁও এলাকার মজিবর জানান, একটি দুষ্টচক্র বনে আগুন লাগিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বনের গাছ কেটে নিয়ে যায়।

শেরপুর নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জন উদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনই সময় এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

বনবিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসন যদি ওই দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে দিন দিন বনের সুন্দর্য নষ্ট হবে। পাশাপাশি বনের জীব-জানোয়ার এই এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেবে। ফলে গারো পাহারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।

রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা তানবীর আহাম্মে ইমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের জনবল অপ্রতুল। ফলে বনের স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণও আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপর পক্ষে এভাবে প্রতিনিয়ত বনের শুকনো পাতায় আগুন দেয়া হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে বিষটি জানিয়েছি এবং প্রতিনিয়ত ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভাচ্ছি বলে জানান বন কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গারো পাহাড়ে দুবৃত্তের আগুনে, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

আপডেট সময় : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর সীমান্ত পথের দুই পাশের শাল-গজারি বাগানের ঝরাপাতায় আগুন লেগে পুড়ছে বনের গুল্ম লতাসহ ছোটছোট চারাগাছ, এমনকি উপকারি কীটপতঙ্গ পর্যন্ত মরে ছাই হয়ে যাচ্ছে।

চৈত্রের খরতাপের ঝরাপাতায় লাগা আগুনের শিখা বনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে।

সেখান থেকে কুণ্ডুলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। বনের এক প্রান্তে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে যখন ব্যস্ত, তখন অন্যপ্রান্তে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে হুমকিতে পড়েছে বনের জীববৈচিত্র্য।

স্থানীয়রা বাসিন্দাদের অভিযোগ জানান, পাহাড়ে আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বনের মূল্যবান গাছ চুরি করছে একটি চক্র। অসাধু বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরাও অসৎ উদ্দেশে বনের ভিতর আগুন দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করছে।

ঝিনাইগাতীর রাংটিয়ার বাসিন্দা প্রশ্ন মারাক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বনের ভিতরে এভাবে আগুন লাগিয়ে দিলে পশু-পাখি ভয়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে বনের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে। দুর্বৃত্তরা যাতে বনের এই ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে বনবিভাগের আরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

গহান্ধিগাঁও এলাকার মজিবর জানান, একটি দুষ্টচক্র বনে আগুন লাগিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বনের গাছ কেটে নিয়ে যায়।

শেরপুর নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জন উদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনই সময় এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

বনবিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসন যদি ওই দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে দিন দিন বনের সুন্দর্য নষ্ট হবে। পাশাপাশি বনের জীব-জানোয়ার এই এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেবে। ফলে গারো পাহারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।

রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা তানবীর আহাম্মে ইমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের জনবল অপ্রতুল। ফলে বনের স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণও আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপর পক্ষে এভাবে প্রতিনিয়ত বনের শুকনো পাতায় আগুন দেয়া হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে বিষটি জানিয়েছি এবং প্রতিনিয়ত ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভাচ্ছি বলে জানান বন কর্মকর্তা।