বাংলাদেশে তৈরি করোনার ওষুধ রেমডেসিভির : ছবি সংগ্রহ
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় বাজেট পেশ করলেন, দেশটির অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তাতে গবেষণাখাতে মোটা দাগে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা গবেষণায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের আন্তরিকতারই প্রতিফলন। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বরাদ্দ বিষয়ে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারক বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম, বাম থেকে দ্বিতীয়
‘সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের অর্থ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গাফিলতিতে যথাযথ নীতিমালা তৈরিতেই চলে যায় ১০ মাস। তাছাড়া করোনার কারণেও কাজের গতি কমে গিয়েছে।
পাট থেকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির পথ দেখালেন বাংলাদেশি গবেষকরা
অবশেষে ১১ মাসের মাথায় শেষ পর্যন্ত গবেষণার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থবছরের বাকি আছে আর মাত্র ২৬ দিন। বাছাই ও চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শেষ করতে চলতি অর্থ বছর পার হয়ে যেতে পারে।
অবশ্য কারণও দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, বলছেন গত বছর করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতের দুর্বল দিকগুলো সামনে আসে। অবকাঠামোসহ অন্যান্য দুর্বলতার মধ্যে গবেষণার দিকটি নিয়ে অনেক কথা হয়।
২০১৭-এ বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়
চলতি বাজেটেও এই খাতে সমপরিমাণ টাকা বরাদ্দ ছিল। অথচ স্বাস্থ্যের অন্যান্য বরাদ্দ ব্যয় করতে না পারার মতো এই বরাদ্দের টাকাও ব্যয় হয়নি।
সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল থেকে করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন ভাইরাসের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাশিক্ষার নানা বিষয়ে গবেষণার সুযোগ এবার অন্তত তৈরির আশায় বুক বেধেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক সংশ্লিষ্টরা।
গেল মার্চ মাসে গবেষণা ও বিজ্ঞানের বিবর্তন দেশের উন্নয়নে অপরিহার্যতার কথা প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আরও মনোযোগের সঙ্গে মানবকল্যাণে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গবেষণা ও বিজ্ঞানের বিবর্তন দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
পাটের পলিথিন ব্যাগ যা মাটির সঙ্গে মিশে যায়
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানি-গবেষকদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, গবেষণায় যে অর্থ বরাদ্দ করছেন, তা কিন্তু জনগণেরই অর্থ। তাই মানবকল্যাণেই কাজ করার বিষয়টি সব সময় সামনে রাখতে হবে।
কৃষি নির্ভর অর্থনীতির যান্ত্রিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জায়গা কম হলেও সেই জায়গার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছি। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে। যাতে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে উঠতে পারে, সেটাই আমরা চাই।
সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন প্রিজারভেটিভ যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত, ন্যাচারাল প্রিজারভেটিভ তৈরি করেছেন চা পাতার উচ্ছ্বিষ্ট, সবজি ও বিভিন্ন ফলের খোসা থেকে
দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হলে দেশে এবং বিদেশেও কর্মসংস্থান সহজ হবে। আমরা সেদিকেই লক্ষ্য রাখছি। প্রতিটি শিল্প কারখানায় গবেষণা ও উন্নয়ন শাখাকে কার্যকরী এবং শক্তিশালী করতে তাগিদ দেন হাসিনা। বলেন, গবেষণার মাধ্যমেই আমরা ব্যয় কমাতে এবং উৎপাদনের উৎকর্ষ বাড়াতে পারি এবং বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে পারি।