ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমিনুল হক, ঢাকা 

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। আর মাত্র ৬ দিন পরই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযাহা। এবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু| এমন প্রত্যাশা  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তথ্য অনুযায়ী গেলো বছরের তুলনায় এ বছর ২০ লাখ ৩৯ হাজার বেশি। গত বছর কোরবাণি হয়েছে, ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু। আর সবচেয়ে বেশি কুরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। চলতি বছরে কোরবাণির জন্য ভালোমানের গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫ টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২ টি অন্যান্য প্রজাতি পশু রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী এবছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকার আশা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে শুধু কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় উপলক্ষ্যে লেনদেন হয়েছে ৬৯ হাজার ১শ ৪১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। যার সিংহভাগই যুক্ত হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এছাড়াও গত বছর অনলাইন প্ল্যাটফরমে ৪ হাজার ৭ শ ৪০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫.০৫ লক্ষ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে।

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ
কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ

অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, ঈদুল আজহা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, গবাদিপশু কোরবানি করা। মুসলমানদের এই উৎসবের উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক না হলেও ঈদুল আযাহা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী যে লেনদেন হয়, অর্থনীতিতে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চলতি বছরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ মোট ২০টি পশুর হাট বসানোর কথা ছিলো। এরমধ্যে আওতাধীন ১১টি নির্ধারিত কোরবানির হাটের মধ্যে আফতাবনগরের হাট সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে বাতিল করা হয়েছে, এবং মেরাদিয়া হাট আইনি জটিলতায় বসানো হচ্ছে না। বাকি ৯টি পশুর হাট বসছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায়।

আসন্ন ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে খিলগাঁও, বাসাবো, গোড়ান, সিপাহিবাগ, শান্তিনগর, শহীদবাগ ও শান্তিবাগসহ আশপাশ এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাব মাঠে পশুর বড় হাট বসেছে। এই হাটে দু’দিন আগে থেকেই কোরবাণির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে, ঈদের ৭ দিন বাকি থাকলেও বিক্রি তেমন একটা জমে ওঠেনি। ঈদ বাজারে সাগরের নিম্নচাপের কারণে প্রবল বর্ষণে এই পশুরহাটে কাদা-পানিতে একাকার। এরই মধ্যে পশু রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ তথা পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের পাইকার এই হাটে বেশি আসে। পশুর হাটকে কেন্দ্র যানজটের কথা চিন্তা করে এবছর হাটের ইজারাদার বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের জার্সি করে দিয়েছেন। তাই পরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে তারা। এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে।

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ
কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ

শাহজাহানপুর পশুর হাটে ট্রাক থেকে পশু নামানোর একাধিক স্থান করা হয়েছে। ট্রাক থেকে গরু নামানোর সময়ও যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মাঠের প্রবেশমুখের ডান পাশে হাট ইজারাদারের তদারকি কক্ষ। পাশেই রয়েছে পশু নামানোর দুটি পার্কিং র‌্যাম্প। ট্রাক থেকে একের পর এক কোরবানির পশু নামানো হচ্ছে সেখানে। হাটজুড়ে দেখা গেছে, মাঠের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গা ইতোমধ্যে গরুতে পূর্ণ হলেও বাকি অংশ এখনো ফাঁকা। আশপাশের কলোনি ও ভবনের পাশে খালি জায়গাতেও পশু রাখার স্থান হিসাবে তৈরি রাখা হয়েছে। উত্তর দিন থেকে পাকা রাস্তা ধরে প্রস্তুতি রয়েছে, তবে সেসব জায়গাও এখনো অনেকটাই খালি।

২৪টি গরু নিয়ে কুষ্টিয়া এথকে এসেছেন এক খামারি। তাদের একজন কর্মী জানান, তারা দু’দিন হয় এখনো এসেছেন। এখন কোনো গরু বিক্রি হয়নি। ঝিনাইদহ থেকে যৌথভাবে ১৭টি গরু এনেছেন পাঁচ বিক্রেতা। তাদের একজন হামিদুল ইসলাম। বলেন, তাদের কাছে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে এক সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু পাওয়া যাবে। এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। তবে, সময় আছে আমরা আশা করছি সবগুলোই বিক্রি হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়ার অপর ব্যবসায়ী সুমন বলেন, বিভিন্ন সাইজের ৪৫টি গরু আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫টি গরু আনা হয়েছে। এখানে থাকা সবচেয়ে ছোট গরুর গোশতের ওজন হবে ১০০ কেজি। এর দাম ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আসা এই হাটে সর্বোচ্চ গরুর দাম দেড় লাখ টাকা। তবে কোন গরুই এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেনি। তবে, আশাপাশ বিশেষ করে এই হাটে দর্শনার্থীদের কলোনির বাসিন্দারা রয়েছেন। শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন হাটের ইজারাদার সিকদার কনস্ট্রাকশন। হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

আমিনুল হক, ঢাকা 

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। আর মাত্র ৬ দিন পরই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযাহা। এবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু| এমন প্রত্যাশা  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তথ্য অনুযায়ী গেলো বছরের তুলনায় এ বছর ২০ লাখ ৩৯ হাজার বেশি। গত বছর কোরবাণি হয়েছে, ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু। আর সবচেয়ে বেশি কুরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। চলতি বছরে কোরবাণির জন্য ভালোমানের গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫ টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২ টি অন্যান্য প্রজাতি পশু রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী এবছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকার আশা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে শুধু কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় উপলক্ষ্যে লেনদেন হয়েছে ৬৯ হাজার ১শ ৪১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। যার সিংহভাগই যুক্ত হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এছাড়াও গত বছর অনলাইন প্ল্যাটফরমে ৪ হাজার ৭ শ ৪০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫.০৫ লক্ষ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে।

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ
কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ

অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, ঈদুল আজহা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, গবাদিপশু কোরবানি করা। মুসলমানদের এই উৎসবের উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক না হলেও ঈদুল আযাহা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী যে লেনদেন হয়, অর্থনীতিতে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চলতি বছরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ মোট ২০টি পশুর হাট বসানোর কথা ছিলো। এরমধ্যে আওতাধীন ১১টি নির্ধারিত কোরবানির হাটের মধ্যে আফতাবনগরের হাট সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে বাতিল করা হয়েছে, এবং মেরাদিয়া হাট আইনি জটিলতায় বসানো হচ্ছে না। বাকি ৯টি পশুর হাট বসছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায়।

আসন্ন ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে খিলগাঁও, বাসাবো, গোড়ান, সিপাহিবাগ, শান্তিনগর, শহীদবাগ ও শান্তিবাগসহ আশপাশ এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাব মাঠে পশুর বড় হাট বসেছে। এই হাটে দু’দিন আগে থেকেই কোরবাণির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে, ঈদের ৭ দিন বাকি থাকলেও বিক্রি তেমন একটা জমে ওঠেনি। ঈদ বাজারে সাগরের নিম্নচাপের কারণে প্রবল বর্ষণে এই পশুরহাটে কাদা-পানিতে একাকার। এরই মধ্যে পশু রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ তথা পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের পাইকার এই হাটে বেশি আসে। পশুর হাটকে কেন্দ্র যানজটের কথা চিন্তা করে এবছর হাটের ইজারাদার বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের জার্সি করে দিয়েছেন। তাই পরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে তারা। এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে।

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ
কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু নির্ধারণ

শাহজাহানপুর পশুর হাটে ট্রাক থেকে পশু নামানোর একাধিক স্থান করা হয়েছে। ট্রাক থেকে গরু নামানোর সময়ও যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মাঠের প্রবেশমুখের ডান পাশে হাট ইজারাদারের তদারকি কক্ষ। পাশেই রয়েছে পশু নামানোর দুটি পার্কিং র‌্যাম্প। ট্রাক থেকে একের পর এক কোরবানির পশু নামানো হচ্ছে সেখানে। হাটজুড়ে দেখা গেছে, মাঠের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গা ইতোমধ্যে গরুতে পূর্ণ হলেও বাকি অংশ এখনো ফাঁকা। আশপাশের কলোনি ও ভবনের পাশে খালি জায়গাতেও পশু রাখার স্থান হিসাবে তৈরি রাখা হয়েছে। উত্তর দিন থেকে পাকা রাস্তা ধরে প্রস্তুতি রয়েছে, তবে সেসব জায়গাও এখনো অনেকটাই খালি।

২৪টি গরু নিয়ে কুষ্টিয়া এথকে এসেছেন এক খামারি। তাদের একজন কর্মী জানান, তারা দু’দিন হয় এখনো এসেছেন। এখন কোনো গরু বিক্রি হয়নি। ঝিনাইদহ থেকে যৌথভাবে ১৭টি গরু এনেছেন পাঁচ বিক্রেতা। তাদের একজন হামিদুল ইসলাম। বলেন, তাদের কাছে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে এক সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু পাওয়া যাবে। এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। তবে, সময় আছে আমরা আশা করছি সবগুলোই বিক্রি হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়ার অপর ব্যবসায়ী সুমন বলেন, বিভিন্ন সাইজের ৪৫টি গরু আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫টি গরু আনা হয়েছে। এখানে থাকা সবচেয়ে ছোট গরুর গোশতের ওজন হবে ১০০ কেজি। এর দাম ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আসা এই হাটে সর্বোচ্চ গরুর দাম দেড় লাখ টাকা। তবে কোন গরুই এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেনি। তবে, আশাপাশ বিশেষ করে এই হাটে দর্শনার্থীদের কলোনির বাসিন্দারা রয়েছেন। শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন হাটের ইজারাদার সিকদার কনস্ট্রাকশন। হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।