ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুয়েট চত্বরে রামদা হাতে যুবদল নেতা মাহবুব রহমান বহিষ্কার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চত্বরে রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান ছবি: সংগৃহীত

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গামছা পেছানো মুখ হাতে রামদা। তিনি যুবদল নেতা। রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় আমান্ত হয়ে ওঠা কুয়েটে এখন থমথমে অবস্থা।

মঙ্গলবার কুয়েটে সংঘর্ষ চলাকালে রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান। তাকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়ে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়তে দেখা গেছে।

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপরাধের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাঞ্জন রায়ের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সকালে হল ছেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, পরিস্থিতি যা মনে হচ্ছে, তাতে একাডেমিক কার্যক্রম হয়তো আরও কিছুদিন বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তার জন্য, পড়াশোনা সুবিধার জন্য হল ছাড়ছেন।

কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক আহত হন।

ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। বুধবার বেলা একটার মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কুয়েটে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুয়েট চত্বরে রামদা হাতে যুবদল নেতা মাহবুব রহমান বহিষ্কার

আপডেট সময় : ১২:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গামছা পেছানো মুখ হাতে রামদা। তিনি যুবদল নেতা। রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় আমান্ত হয়ে ওঠা কুয়েটে এখন থমথমে অবস্থা।

মঙ্গলবার কুয়েটে সংঘর্ষ চলাকালে রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান। তাকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়ে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়তে দেখা গেছে।

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপরাধের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাঞ্জন রায়ের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সকালে হল ছেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, পরিস্থিতি যা মনে হচ্ছে, তাতে একাডেমিক কার্যক্রম হয়তো আরও কিছুদিন বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তার জন্য, পড়াশোনা সুবিধার জন্য হল ছাড়ছেন।

কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শতাধিক আহত হন।

ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। বুধবার বেলা একটার মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কুয়েটে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।