ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারাগার থেকে বিকেলে বেড়িয়ে রাতে ডাকাতি, অস্ত্রসহ ধৃত ৩

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার তিন যুবক। বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছবি: পুলিশের সৌজন্যে

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একেবারে জাত অপরাধী যাকে বলে। এরা সংখ্যায় তিন। এদের একজন ৪০, অপরজন ১৬ ও বাকীজন ১৪ মামলার আসামি। ১৬ ও ১৪ মামলার দুই আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার মঙ্গলবার বিকেলে জামিনে বের হন। জামিনে মুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা বের হন ডাকাতি করতে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মাসখানেক আগে জামিনে বের হওয়া ৪০ মামলার আসামি।

পুলিশ জানায়, খাইরুলের বিরুদ্ধে ৪০টি, রাকিবুলের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে। বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবার আগেই পুলিশের জালে আটকা পড়ে যায় তারা। পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে ধরা পড়ে। বুধবার দুপুর বেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সাংবাদিকদের এতথ্য জানান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন।

পুলিশ জানায়, কোরবানির পশুর হাটে ডাকাতি-ছিনতাই করতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ কুমিল্লা নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে তিন ব্যক্তিকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় ৪০ মামলার আসামি যুবক পুলিশের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন।

পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিকে ঘেরাও করে তিনজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পালিয়ে যায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাজু মিয়া মঙ্গলবার রাতে কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ার বাজারমুখী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় থামতে সংকেত দেন।

এ সময় অটোরিকশাতে যাত্রীবেশে থাকা খাইরুল পুলিশের উদ্দেশে অস্ত্র তাক করে। পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিতে ঘেরাও করলে উপপরিদর্শক খাজু মিয়া আসামি খায়রুল হাসানকে জাপটে ধরেন। এ সময় উপস্থিত অন্যদের সহযোগিতায় রাকিবুল ও সোহাগকেও আটক করা হয়। এ সময় চালকসহ দুই যুবক পালিয়ে যান।

তিনি জানান, রিয়াদ ও সোহাগ গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। আর খাইরুল এক মাস আগে জামিনে বের হন। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কারাগার থেকে বিকেলে বেড়িয়ে রাতে ডাকাতি, অস্ত্রসহ ধৃত ৩

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

একেবারে জাত অপরাধী যাকে বলে। এরা সংখ্যায় তিন। এদের একজন ৪০, অপরজন ১৬ ও বাকীজন ১৪ মামলার আসামি। ১৬ ও ১৪ মামলার দুই আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার মঙ্গলবার বিকেলে জামিনে বের হন। জামিনে মুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা বের হন ডাকাতি করতে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মাসখানেক আগে জামিনে বের হওয়া ৪০ মামলার আসামি।

পুলিশ জানায়, খাইরুলের বিরুদ্ধে ৪০টি, রাকিবুলের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে। বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবার আগেই পুলিশের জালে আটকা পড়ে যায় তারা। পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে ধরা পড়ে। বুধবার দুপুর বেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সাংবাদিকদের এতথ্য জানান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন।

পুলিশ জানায়, কোরবানির পশুর হাটে ডাকাতি-ছিনতাই করতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ কুমিল্লা নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে তিন ব্যক্তিকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় ৪০ মামলার আসামি যুবক পুলিশের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন।

পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিকে ঘেরাও করে তিনজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পালিয়ে যায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন।

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাজু মিয়া মঙ্গলবার রাতে কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ার বাজারমুখী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় থামতে সংকেত দেন।

এ সময় অটোরিকশাতে যাত্রীবেশে থাকা খাইরুল পুলিশের উদ্দেশে অস্ত্র তাক করে। পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিতে ঘেরাও করলে উপপরিদর্শক খাজু মিয়া আসামি খায়রুল হাসানকে জাপটে ধরেন। এ সময় উপস্থিত অন্যদের সহযোগিতায় রাকিবুল ও সোহাগকেও আটক করা হয়। এ সময় চালকসহ দুই যুবক পালিয়ে যান।

তিনি জানান, রিয়াদ ও সোহাগ গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। আর খাইরুল এক মাস আগে জামিনে বের হন। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।