ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোন রুখবে সুপার অ্যান্টিবডি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি- ইন্টারনেট

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লাখ অতিক্রম করেছে। প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ করোনা আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসাধীন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে না হতেই বিশ্ব এখন তৃতীয় ঢেউরের আশঙ্কা করছে।

এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী দিনে SARS-CoV-2 ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে এবং ভবিষ্যতে করোনা রুখতে প্রয়োজন মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুপার অ্যান্টিবডি তথাপি SARS-CoV-2 এর বিপক্ষে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্টকে যথাযোগ্য সমাধান হিসেবে দেখছে। সুপার

অ্যান্টিবডিগুলি করোনাভাইরাসের মতোই স্পাইক প্রোটিন বিশিষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাসের মূল চালিকাশক্তি এই স্পাইক প্রোটিনগুলিকে ঘিরেই।

ভাইরাসটি যখন দেহকোষে প্রবেশ করে তখন স্পাইক প্রোটিনটিই বিশেষ গুরুত্ব নেয় জিনোমকে দেহকোষে প্রবেশ করিয়ে দিতে। আর সেখানেই এই সুপার অ্যান্টিবডির কাজ শুরু হয়। এদেরও যেহেতু স্পাইক প্রোটিন থাকে তাই অনায়াসে তা চরিত্র দিয়েই করোনাকে রোখার কাজ করে অ্যান্টিবডিগুলি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের মতে, সুপার অ্যান্টিবডিগুলি করোনাভাইরাসের সব প্রজাতির ওপরই কাজ করে। এটি ভাইরাসকে নিউট্রিলাইজ বা প্রশমিত করে দেয়। ফলে দেহকোষে ঢুকেও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কোভিড।

সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি স্টাডিতে গবেষক ফিল নাডিউ বলেছেন, বর্তমানে কোনো রোগীর দেহে করোনার কোনো প্রজাতি বাসা বেঁধে রয়েছে তা চিকিৎসকদের পক্ষে বোঝা

সম্ভব নয় যতক্ষণ না জিনোম সিকোয়েন্সিং হচ্ছে। কিন্তু যদি এই ধরনের অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট করা যায় সেক্ষেত্রে কোভিডের যে কোনও প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সফল হবে এটি।

ইতোমধ্যে মার্কিন সরকার এবং বিশ্বের একাধিক দেশ এই চিকিৎসাকে কার্যকরি বলে মনে করছে। যে সব কোভিড রোগীর উপসর্গ গুরুতর এবং প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের দেহে এই চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

গবেষকদের মতে, বিশ্বে যেসব ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলি করোনার নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির ওপর ভিত্তি করেই। কিন্ত আরএনএ ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই টিকা আদৌ কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোভিড টিকার দুটি ডোজ নিয়েও ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।
সূত্র: জি নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোন রুখবে সুপার অ্যান্টিবডি

আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

ছবি- ইন্টারনেট

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লাখ অতিক্রম করেছে। প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ করোনা আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসাধীন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে না হতেই বিশ্ব এখন তৃতীয় ঢেউরের আশঙ্কা করছে।

এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী দিনে SARS-CoV-2 ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে এবং ভবিষ্যতে করোনা রুখতে প্রয়োজন মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুপার অ্যান্টিবডি তথাপি SARS-CoV-2 এর বিপক্ষে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্টকে যথাযোগ্য সমাধান হিসেবে দেখছে। সুপার

অ্যান্টিবডিগুলি করোনাভাইরাসের মতোই স্পাইক প্রোটিন বিশিষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাসের মূল চালিকাশক্তি এই স্পাইক প্রোটিনগুলিকে ঘিরেই।

ভাইরাসটি যখন দেহকোষে প্রবেশ করে তখন স্পাইক প্রোটিনটিই বিশেষ গুরুত্ব নেয় জিনোমকে দেহকোষে প্রবেশ করিয়ে দিতে। আর সেখানেই এই সুপার অ্যান্টিবডির কাজ শুরু হয়। এদেরও যেহেতু স্পাইক প্রোটিন থাকে তাই অনায়াসে তা চরিত্র দিয়েই করোনাকে রোখার কাজ করে অ্যান্টিবডিগুলি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের মতে, সুপার অ্যান্টিবডিগুলি করোনাভাইরাসের সব প্রজাতির ওপরই কাজ করে। এটি ভাইরাসকে নিউট্রিলাইজ বা প্রশমিত করে দেয়। ফলে দেহকোষে ঢুকেও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কোভিড।

সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি স্টাডিতে গবেষক ফিল নাডিউ বলেছেন, বর্তমানে কোনো রোগীর দেহে করোনার কোনো প্রজাতি বাসা বেঁধে রয়েছে তা চিকিৎসকদের পক্ষে বোঝা

সম্ভব নয় যতক্ষণ না জিনোম সিকোয়েন্সিং হচ্ছে। কিন্তু যদি এই ধরনের অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট করা যায় সেক্ষেত্রে কোভিডের যে কোনও প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সফল হবে এটি।

ইতোমধ্যে মার্কিন সরকার এবং বিশ্বের একাধিক দেশ এই চিকিৎসাকে কার্যকরি বলে মনে করছে। যে সব কোভিড রোগীর উপসর্গ গুরুতর এবং প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের দেহে এই চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

গবেষকদের মতে, বিশ্বে যেসব ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলি করোনার নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির ওপর ভিত্তি করেই। কিন্ত আরএনএ ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই টিকা আদৌ কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোভিড টিকার দুটি ডোজ নিয়েও ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।
সূত্র: জি নিউজ