করোনায় বাংলাদেশে নতুন কোন আক্রান্ত নেই, সুস্থ হয়েছেন আরও ৪জন
- আপডেট সময় : ১১:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০ ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে, নতুন কোন করোনা আক্রান্তর খবর নেই।
এই একটি মাত্র খবরেই বাংলাদেশের সামনে আশার প্রদীপ জ¦ালিয়ে দিয়েছে। শনিবার মহাখালিতে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে এসে এমন সুখবর জানালেন, সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। এসময় তাকে আত্মবিশ^াসি মনে হচ্ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন তারা। তাতে কারো দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮জন। ডা. ফ্লোরা বলেন, আমরা বরং একটা সুখবর বলতে দিতে চাই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা নিয়ে ১৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জানালেন, যারা চিকিৎসাধীনরা তাদের সর্বোচ্চ ১৬ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাড়ি ফেরা ১৫ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা। তাদের গড় বয়স ২৯ বছর। এখানে ২ থেকে ৫৪ বছর বয়সী পর্যন্ত আক্রান্ত ছিলেন।
যাদের বয়স ৬০ এর বেশি এবং মহিলা গর্ভবতীরা একেবারেই ঘরের বাইরে যাবেন না। প্রতিরোধের জন্যহাঁচিকাশিশিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। বাংলাদেশে সামাজিকভাবে রোগটিসংক্রমিত হয়নি। তবে সীমিত আকারে হয়েছে। এসময় তিনি সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করার অনুরোধ জানালেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আইইডিসিআর এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। আর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও একটি সমন্বিত কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
অপর দিকে বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫৮ জন। মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩৭০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৩ জন। বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ লাখ ১৩ হাজার ১৫৬ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ২৩ হাজার ৫৫৯ জনের অবস্থা শংকটাপন্ন।
এছাড়া লন্ডনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সাঈদ হোসেন জসিম (৬৫)। শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাটে। তিনি সপরিবারে লন্ডন ম্যানচেস্টারে থাকতেন।