ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত-পাকিস্তান কোনো সংঘাত চায় না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চল্লিশোর্ধ্ব নারীর প্রেম ও শরীরের ভাষা: আত্মোপলব্ধির এক অসমাপ্ত অধ্যায় ভারত বাড়াবাড়ি করলে চরম মূল্য দিতে হবে, আব্বাসির হুঁশিয়ারি ভারতের গুজরাটে এক হাজারের বেশি  বাংলাদেশিকে আটক শান্তি অগ্রাধিকার, দুর্বলতা নয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ পেঁয়াজ সংক্ষণ ব্যবস্থানার  অভাবেই সংকট আশার বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই: ড. ইউনূস ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুখবর দিলেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই সংলাপ: গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন স্থগিত চায় এনসিপি-মজলিস

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ ৭২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৃহস্পতিবার রাত দুইটা। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সন্দেহজনক বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চলছে। এসময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার দ্রুত এগিয়ে আসছিলো। পুলিশ সেটিকে থামার সংকেত দেয়। গাড়ি থামানোর তাতে তল্লাশি চালানো হয়।

এসময় গাড়িতেদ বসা ছিলেন, গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী মো. সাবিউল ইসলাম। প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করতে গিড়য়ে পুলিশের চোখ কপালে ওঠে এলো। একি! এযে বান্ডিল বান্ডি টাকা সাজানো। একে একে মিললো ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা। প্রকৌশলী ও গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে পৌছে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক এতথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে সন্দেহজনক প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে কালো ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পায় পুলিশ। গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন।

এতে সন্দেহ হলে প্রাইভেটকার, টাকাসহ আরোহী সাবিউল ও চালককে আটক রেখে বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী আটক সাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন যে তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে। পরে গুনে আরও ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

বৃহস্পতিবার রাত দুইটা। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সন্দেহজনক বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চলছে। এসময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার দ্রুত এগিয়ে আসছিলো। পুলিশ সেটিকে থামার সংকেত দেয়। গাড়ি থামানোর তাতে তল্লাশি চালানো হয়।

এসময় গাড়িতেদ বসা ছিলেন, গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী মো. সাবিউল ইসলাম। প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করতে গিড়য়ে পুলিশের চোখ কপালে ওঠে এলো। একি! এযে বান্ডিল বান্ডি টাকা সাজানো। একে একে মিললো ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা। প্রকৌশলী ও গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে পৌছে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক এতথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে সন্দেহজনক প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে কালো ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পায় পুলিশ। গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন।

এতে সন্দেহ হলে প্রাইভেটকার, টাকাসহ আরোহী সাবিউল ও চালককে আটক রেখে বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী আটক সাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন যে তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে। পরে গুনে আরও ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।