এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা

- আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ ৭২ বার পড়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার রাত দুইটা। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সন্দেহজনক বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চলছে। এসময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার দ্রুত এগিয়ে আসছিলো। পুলিশ সেটিকে থামার সংকেত দেয়। গাড়ি থামানোর তাতে তল্লাশি চালানো হয়।
এসময় গাড়িতেদ বসা ছিলেন, গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী মো. সাবিউল ইসলাম। প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করতে গিড়য়ে পুলিশের চোখ কপালে ওঠে এলো। একি! এযে বান্ডিল বান্ডি টাকা সাজানো। একে একে মিললো ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা। প্রকৌশলী ও গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে পৌছে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক এতথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে সন্দেহজনক প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে কালো ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পায় পুলিশ। গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলে পরিচয় দেন।
এতে সন্দেহ হলে প্রাইভেটকার, টাকাসহ আরোহী সাবিউল ও চালককে আটক রেখে বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে থাকা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী আটক সাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন যে তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে। পরে গুনে আরও ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।