ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

একুশ অবিনাশী প্রেরণা, সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র: ড. ইউনূস

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একুশ মানে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্য সূচিত হলেও এর মূল চেতনাটি ছিল স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তা ছিল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলন। ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু অশ্রু বিসর্জনের দিন নয়, বরং এক অবিনাশী প্রেরণা, সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আমরা মাতৃভাষা দিবসে সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। আবেগের কারণ তো আছেই, মস্ত বড় স্বার্থের কারণও আছে। এখন আমাদের জানা নেই কোন অজ্ঞাত নামহীন মাতৃভাষা পৃথিবী সম্পূর্ণ বদলে দেবে। কোনো সম্ভাবনাকে অবজ্ঞা করলে মস্ত বড় ভুল করব।

 

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে একজন নাগরিক একাধিক ভাষায় কথা বলেন। এজন্য ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পদক হিসেবে একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও প্রাইজ মানি দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলা এই আন্দোলন বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা-র মর্যাদা রক্ষার জন্য সূচিত হলেও এর মূল চেতনাটি ছিল স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তা ছিল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলন, তাই বাঙালির কাছে একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একুশ অবিনাশী প্রেরণা, সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র: ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ১০:১৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একুশ মানে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্য সূচিত হলেও এর মূল চেতনাটি ছিল স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তা ছিল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলন। ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু অশ্রু বিসর্জনের দিন নয়, বরং এক অবিনাশী প্রেরণা, সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বীজমন্ত্র।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আমরা মাতৃভাষা দিবসে সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। আবেগের কারণ তো আছেই, মস্ত বড় স্বার্থের কারণও আছে। এখন আমাদের জানা নেই কোন অজ্ঞাত নামহীন মাতৃভাষা পৃথিবী সম্পূর্ণ বদলে দেবে। কোনো সম্ভাবনাকে অবজ্ঞা করলে মস্ত বড় ভুল করব।

 

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে একজন নাগরিক একাধিক ভাষায় কথা বলেন। এজন্য ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পদক হিসেবে একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও প্রাইজ মানি দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলা এই আন্দোলন বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা-র মর্যাদা রক্ষার জন্য সূচিত হলেও এর মূল চেতনাটি ছিল স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তা ছিল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলন, তাই বাঙালির কাছে একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয়।