১২ পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
মাংস, সবজি, চাল ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ|
মাংস ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি ১২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে শীর্ষ ১০-এ। বিশ্বখাদ্য দিবসে এমনই
তথ্য পাওয়া গেলেও পণ্যমূল্য চড়া। আজ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস। দিবসটি এমন সময় পালিত হচ্ছে, যখন চাল ও মাছ
উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এ বছর খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবে না পিছিয়ে’। বাংলাদেশে প্রতি বছর কৃষি মন্ত্রণালয়
ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে দিবসটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করে। এ উপলক্ষে
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়েছেন। মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হচ্ছে খাদ্য। এই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা
নিশ্চিতকরণ বর্তমান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক কর্মসূচি। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেরও
অন্যতম লক্ষ্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
চার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ১২ পণ্যশীর্ষ দশে বাংলাদেশ| জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি
পরিস্থিতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতাপরবর্তী ৫২ বছরে বাংলাদেশে প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে তিন
থেকে পাঁচগুণ। ১২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি দেশের একটি। এই সাফল্যের পাশাপাশি গত ১০
বছরে কৃষিতে বড় ধরনের বিবর্তন এসেছে। উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
চার খাদ্য মাংস, সবজি, চাল ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ১২ পণ্যশীর্ষ দশে বাংলাদেশ|
একসময় বড় বিনিয়োগমুখী শিল্প হিসাবে মানুষ গার্মেন্টস কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি অন্যান্য লাভজনক শিল্পে ঝুঁকেছে।
এখন সেই বিনিয়োগকারীরাই কৃষিতে বড় বিনিয়োগে মনোযোগী হয়েছেন। গার্মেন্টস কারখানার শেডেই হয়তো গড়ে তুলছেন
আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি খামার। খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে চাল, মাছ, মাংস ও সবজি উৎপাদনে
স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মাছ উৎপাদনকারী দেশও।
দেশে এখন মোট ৮১ হাজার ৬১৪টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তথ্য বলছে, পোল্ট্রি শিল্পে গত
১০ বছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০০ শতাংশ। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের
তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে হাঁস-মুরগির শিল্পে উৎপাদন আয় ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। যা বেড়ে ৩৫ হাজার থেকে ৪০
হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। দেশের প্রায় ১ দশমিক ৬৫ লাখ মানুষ ডিম ও মাংস উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। প্রাণিসম্পদ
অধিদফতর দাবি করেছে, দেশে এখন মোট ৮১ হাজার ৬১৪টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। একজন ব্যক্তির দৈনিক ১২০ গ্রাম
মাংসের চাহিদা থাকে। ২০১৭ সালে সে চাহিদা পূরণ করেছে বাংলাদেশ।
চার খাদ্য মাংস, সবজি, চাল ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ|
১২ পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ| গত ১০ বছরে মাংস উৎপাদন প্রায় ছয়গুণ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে
বাংলাদেশ ৭৫ লাখ টন সাদা ও লাল মাংস উৎপাদন করেছে, যা আরও বেড়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে,
২০০৮-০৯ সালে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা
বেড়ে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদনেও ধারাবাহিক সাফল্য রয়েছে।
গত ১৫ বছরে ভুট্টা উৎপাদন বেড়ছে প্রায় ৯ গুণ, আলু ২ গুণ, ডাল ৪ গুণ, তেলবীজ ২.৫ গুণ ওসবজি
৮ গুণ। ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে
চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম। চার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ|