উদ্যানের গাছ কেটে জিয়া শিশুপার্ক বানানোর সময় কোথায় ছিলেন পরিবেশবাদীরা, কাদের

- আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন। ৭ই মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার করার স্মৃতি মুছে ফেলতে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে উদ্যানের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শিশুপার্ক করেছিলেন।
জিয়া যখন উদ্যানের গাছ কেটে শিশুপার্ক বানিয়েছিলো, তখন কোথায় ছিলেন পরিবেশবাদীরা? তখনতো তারা কোন প্রশ্ন তোলেননি। সেদিন কারও মুখে একটি কথাও শুনতে পায়নি। শনিবার ব্রিফিংকালে এসব কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিন ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরের রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, উজাড় করে ফেলা হয়েছিল এই নগরীর সৌন্দর্য।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে বিভিন্ন সময় ক্ষতিকর প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবাদীদের ভূমিকার সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। এবিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
গত কয়েকদিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে, শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এধরনের পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা, সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কাদের বলেন, আসুন সবাই মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।
বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে।
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজ ধীরগতিতে এগুচ্ছে, ওবায়দুল কাদের এই সেতুর কাজের গতি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে। আর লোকসানের কথা আর শুনতে চান না তিনি। বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন কাদের।