ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বললো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ইলিশ ধরার উৎসবে সাগরে দলবদ্ধ জেলেরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০ ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট

এটাকে ইলিশ ধরার উৎসবই বলা যায়। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এতো যে সে কথা নয়। উপকূল অঞ্চলে মৎস্যজীবীরা প্রায় অর্ধমাসের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে ট্রলার ভাসিছে। ফিরবে ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে। চোখে মুখে মাছ প্রাপ্তির প্রত্যাশা। এবারে বড় আকারের ইলিশ বাজারে মিলবে। এখানে মিলবে বললে ভুল হবে। রীতিমত ৬০০ থেকে দু’কেজি ওজনের ইলিশ এখনই মিলছে। করোনা মহামারী এবং ২০ মে  থেকে ইলিশ শিকার নিষদ্ধ ছিলো।  নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়েছে আরও আগেই। কিন্তু করোনায় আটকে যায় সব। অবশেষে প্রায় শ’ দিন পর ইলিশ শিকারে দলবদ্ধ জেলেরা সাগরে ছুটছেন। এবারে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের। ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ শিকারের বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে সাগর যাত্রায় বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের জেলেরা।

চট্টগ্রামের ফিসারিঘাট ও আশপাশের জেলেরা সাগর যাত্রার উৎসবে মেতেছেন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ওঠে গেছে। শুক্রবার ইলিশ শিকারে সাগরযাত্রার আগ মুহূর্তে সকল রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। তবে  কয়েকদিন ধরেই চলছি নানা আয়োজন। ১৫ থেকে ২০ দিনের যাত্রা। এর জন্য বরফ থেকে শুরু করে খাবার জল, বাজার সদাই যা যা দরকার ট্রলারে তুলে সারি বদ্ধ ট্রলারের ইঞ্জিন গর্জে ওঠে। ধীরে ধীরে কর্ণফুলি নদীর বুক চিরে এক সময় তারা চলে যায় চোখের আড়ারে। ফিরে আসবে ট্রলার বোঝাই ইলিশ নিয়ে। কুয়াকাটা, পটুয়াখালি, মহিপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছেন।

মাছ ধরা নিষেদ্ধ থাকালীন সময়ে সরকারের তরফে চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবারে ইলিশ মৌসুম শুরু হচ্ছে আগস্ট থেকে। বর্তমান পরিবেশ ইলিশ শিকারের অনুকূলে।  বৃষ্টির সাথে ঢলের জলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারে ইলিশের সাইজও  অনেক বড় হয়। এখনই ঢাকার বাজারে প্রায় দু’কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এবারে ইলিশ রক্ষায় তাদের সকল ব্যবস্থাপনা সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছেন। এখনই কেজির ওপরে ইলিশ মিলছে প্রচুর। প্রতি বছরই বাংলাদেশে ইলিশের সাইজ বড় হবার কারণ, হিসেবে এই গবেষক জানালেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদক্ষেপের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অভয়শ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় আজ এই সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। আগামী বছর ইলিশের আকার আরও বড় হবে এমন আশার কথা জানালেন ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইলিশ ধরার উৎসবে সাগরে দলবদ্ধ জেলেরা

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

ভয়েস রিপোর্ট

এটাকে ইলিশ ধরার উৎসবই বলা যায়। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এতো যে সে কথা নয়। উপকূল অঞ্চলে মৎস্যজীবীরা প্রায় অর্ধমাসের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে ট্রলার ভাসিছে। ফিরবে ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে। চোখে মুখে মাছ প্রাপ্তির প্রত্যাশা। এবারে বড় আকারের ইলিশ বাজারে মিলবে। এখানে মিলবে বললে ভুল হবে। রীতিমত ৬০০ থেকে দু’কেজি ওজনের ইলিশ এখনই মিলছে। করোনা মহামারী এবং ২০ মে  থেকে ইলিশ শিকার নিষদ্ধ ছিলো।  নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়েছে আরও আগেই। কিন্তু করোনায় আটকে যায় সব। অবশেষে প্রায় শ’ দিন পর ইলিশ শিকারে দলবদ্ধ জেলেরা সাগরে ছুটছেন। এবারে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের। ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ শিকারের বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে সাগর যাত্রায় বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের জেলেরা।

চট্টগ্রামের ফিসারিঘাট ও আশপাশের জেলেরা সাগর যাত্রার উৎসবে মেতেছেন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ওঠে গেছে। শুক্রবার ইলিশ শিকারে সাগরযাত্রার আগ মুহূর্তে সকল রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। তবে  কয়েকদিন ধরেই চলছি নানা আয়োজন। ১৫ থেকে ২০ দিনের যাত্রা। এর জন্য বরফ থেকে শুরু করে খাবার জল, বাজার সদাই যা যা দরকার ট্রলারে তুলে সারি বদ্ধ ট্রলারের ইঞ্জিন গর্জে ওঠে। ধীরে ধীরে কর্ণফুলি নদীর বুক চিরে এক সময় তারা চলে যায় চোখের আড়ারে। ফিরে আসবে ট্রলার বোঝাই ইলিশ নিয়ে। কুয়াকাটা, পটুয়াখালি, মহিপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছেন।

মাছ ধরা নিষেদ্ধ থাকালীন সময়ে সরকারের তরফে চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবারে ইলিশ মৌসুম শুরু হচ্ছে আগস্ট থেকে। বর্তমান পরিবেশ ইলিশ শিকারের অনুকূলে।  বৃষ্টির সাথে ঢলের জলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারে ইলিশের সাইজও  অনেক বড় হয়। এখনই ঢাকার বাজারে প্রায় দু’কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এবারে ইলিশ রক্ষায় তাদের সকল ব্যবস্থাপনা সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছেন। এখনই কেজির ওপরে ইলিশ মিলছে প্রচুর। প্রতি বছরই বাংলাদেশে ইলিশের সাইজ বড় হবার কারণ, হিসেবে এই গবেষক জানালেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদক্ষেপের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অভয়শ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় আজ এই সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। আগামী বছর ইলিশের আকার আরও বড় হবে এমন আশার কথা জানালেন ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান।