ইউনূস-মোদী বৈঠকে হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫ ৭২ বার পড়া হয়েছে
হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি যে উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে বহু আলোচিত এই বৈঠক হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ।
হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি যে উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, এসব বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে, জানান প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাতে বাসস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। সেদিনই তিনি ভারতে চলে যান। তিন দিন পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ড, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তখন থেকেই বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি চলে আসছে।
ইউনূসের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর আগেও দুই দফা মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাদের বৈঠক আর ওঠেনি। ফলে বিমসটেকের সম্মেলনে তাদের বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন।
নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা যায়।