ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আসল যখন ফুলের ফাগুন—

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৫১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এসো মিলি প্রাণের উৎসবে

আসল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়।
এমন দিনে বন্ধু কেন বন্ধুজনে ছেড়ে যায়॥

আমিনুল হক ভুইয়া

রাজধানী ঢাকা তখনও ব্যস্ততায় গা ভাসায়নি। তবে, শাহবাগ ফুল মার্কেট পেরিয়ে যাবার সময় মনে হলো প্রকৃতির রঙে নিজেকে রাঙিয়ে চারুকলার বকুল তলার পথেই পা বাড়াচ্ছেন সারি সারি মানুষ। ধোয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমক দিয়ে চারুকলার দরজায় পা রাখতেই ভেসে এলো ‘আসল যখন ফুলের ফাগুন—’ বসন্ত উৎসব মঞ্চে নজরুলে ডুব দিয়েছেন মোলায়েম কণ্ঠী নজরুল সঙ্গীত শিল্পী প্রিয়ঙ্কা গোপ। মঞ্চের সামনে বসন্ত রঙে নিজে সাজিয়ে হাজারো মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ শুরুর আয়োজন থেকেই যুক্ত রয়েছেন শিল্পী। শান্ত গলায় জানালেন, ভালো লাগছে। প্রতিবছরই নিজেকে যুক্ত করেন। তাতে মানুষে মানুষে বন্ধনটা আরও দৃঢ় হয়।

‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সমবেত বাদ্যযন্ত্র, বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সঙ্গীতের দলসমূহ, একক বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময় থেকে পিছিয়ে থাকেনি আয়োজন।

কেউ বলে ফাল্গুন
কেউ বলে পলাশের মাস
আমি বলি আমার সর্বনাশ

ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে দেই প্রাণ, গানে আর আনন্দে বরণ করি বসন্তের আহ্বান! বছর ঘুরে এসেছে বসন্ত, প্রকৃতি সেজেছে চোখ ধাঁধানো রঙিন রঙে। ফাগুনের মিষ্টি হাওয়াতে, কোকিলের গানে যেন শুরু হয়েছে জীবনের নতুন উৎসব। আসুন সবাই মিলে রঙিন মনে বরণ করি ঋতুরাজ বসন্তকে; আর রঙে রঙে উদযাপন করি নতুন আশার যাত্রা।

চারিদিকে ফুলের গন্ধ, গাছে গাছে কোকিলের কুহুডাক যেন জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। পয়লা ফাল্গুন আজ। ছন্দ, সুরে চলছে বসন্তবরণ উৎসব। সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় মানুষের ভিড়। বসন্ত ভালোবাসার আমেজে সবাই মেতেছে এ উৎসবে।

স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্রের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনের পর কথা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মৈত্রী সরকার। জানালেন, প্রতিবছরই তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসন্ত উৎসবে অংশ নেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সামনের দিনগুলো আরও ব্যপ্তি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে মৈত্রী সরকারের ।

মৈত্রী সরকার

আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পেরিয়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ এর সাধারণ সম্পাদক সুইট ভাই তথা মানজার চৌধুরীর কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় ‘বসন্ত উৎসব’র একটি কোর্ট পিন উপহার দিলেন। আয়োজন সম্পর্কে মানজার চৌধুরী সুইট বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারেও বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামি ১লা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ এর উদ্যোগে ৩১তম বসন্ত উৎসব-১৪৩১ এর আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।

শুক্রবার বসন্ত কথন পর্বে সভাপতিত্ব করেন পরিষৎ এর সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমদ, বক্তব্য রাখবেন, সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটসহ অন্যান্য বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবছরের মতো এবারেও রাঙা সকালকে সঙ্গী করে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয় ঢাকার তিন জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চারুকলা অনুষদের বকুতলা, বাহাদুর শাহ্ পার্ক স্মৃতিস্তম্ভ মঞ্চ ও উত্তরা ৩নং সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছিলেন নায়লা তারাননুম চৌধুরি কাকলি ও আহসান দিপু।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আসল যখন ফুলের ফাগুন—

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এসো মিলি প্রাণের উৎসবে

আসল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়।
এমন দিনে বন্ধু কেন বন্ধুজনে ছেড়ে যায়॥

আমিনুল হক ভুইয়া

রাজধানী ঢাকা তখনও ব্যস্ততায় গা ভাসায়নি। তবে, শাহবাগ ফুল মার্কেট পেরিয়ে যাবার সময় মনে হলো প্রকৃতির রঙে নিজেকে রাঙিয়ে চারুকলার বকুল তলার পথেই পা বাড়াচ্ছেন সারি সারি মানুষ। ধোয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমক দিয়ে চারুকলার দরজায় পা রাখতেই ভেসে এলো ‘আসল যখন ফুলের ফাগুন—’ বসন্ত উৎসব মঞ্চে নজরুলে ডুব দিয়েছেন মোলায়েম কণ্ঠী নজরুল সঙ্গীত শিল্পী প্রিয়ঙ্কা গোপ। মঞ্চের সামনে বসন্ত রঙে নিজে সাজিয়ে হাজারো মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ শুরুর আয়োজন থেকেই যুক্ত রয়েছেন শিল্পী। শান্ত গলায় জানালেন, ভালো লাগছে। প্রতিবছরই নিজেকে যুক্ত করেন। তাতে মানুষে মানুষে বন্ধনটা আরও দৃঢ় হয়।

‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সমবেত বাদ্যযন্ত্র, বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সঙ্গীতের দলসমূহ, একক বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময় থেকে পিছিয়ে থাকেনি আয়োজন।

কেউ বলে ফাল্গুন
কেউ বলে পলাশের মাস
আমি বলি আমার সর্বনাশ

ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে দেই প্রাণ, গানে আর আনন্দে বরণ করি বসন্তের আহ্বান! বছর ঘুরে এসেছে বসন্ত, প্রকৃতি সেজেছে চোখ ধাঁধানো রঙিন রঙে। ফাগুনের মিষ্টি হাওয়াতে, কোকিলের গানে যেন শুরু হয়েছে জীবনের নতুন উৎসব। আসুন সবাই মিলে রঙিন মনে বরণ করি ঋতুরাজ বসন্তকে; আর রঙে রঙে উদযাপন করি নতুন আশার যাত্রা।

চারিদিকে ফুলের গন্ধ, গাছে গাছে কোকিলের কুহুডাক যেন জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। পয়লা ফাল্গুন আজ। ছন্দ, সুরে চলছে বসন্তবরণ উৎসব। সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় মানুষের ভিড়। বসন্ত ভালোবাসার আমেজে সবাই মেতেছে এ উৎসবে।

স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্রের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনের পর কথা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মৈত্রী সরকার। জানালেন, প্রতিবছরই তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসন্ত উৎসবে অংশ নেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সামনের দিনগুলো আরও ব্যপ্তি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে মৈত্রী সরকারের ।

মৈত্রী সরকার

আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পেরিয়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ এর সাধারণ সম্পাদক সুইট ভাই তথা মানজার চৌধুরীর কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় ‘বসন্ত উৎসব’র একটি কোর্ট পিন উপহার দিলেন। আয়োজন সম্পর্কে মানজার চৌধুরী সুইট বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারেও বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামি ১লা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষৎ এর উদ্যোগে ৩১তম বসন্ত উৎসব-১৪৩১ এর আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।

শুক্রবার বসন্ত কথন পর্বে সভাপতিত্ব করেন পরিষৎ এর সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমদ, বক্তব্য রাখবেন, সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটসহ অন্যান্য বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবছরের মতো এবারেও রাঙা সকালকে সঙ্গী করে বসন্ত উৎসবের সূচনা হয় ঢাকার তিন জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চারুকলা অনুষদের বকুতলা, বাহাদুর শাহ্ পার্ক স্মৃতিস্তম্ভ মঞ্চ ও উত্তরা ৩নং সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছিলেন নায়লা তারাননুম চৌধুরি কাকলি ও আহসান দিপু।