আশার বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই: ড. ইউনূস

- আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশেরন ৭২৫ সৈন্য নেবে কাতার
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন যোগ দিতে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন কাতারের রাজধানী দোহায় রয়েছেন। মঙ্গলবার এখানে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস।
বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। সামাজিক চুক্তি, যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
অপর দিকে ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কুয়েতের মতো কাতারও বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে। কাতারের দোহাতে আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে একথা কাতার সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে আমাদের সৈন্যরা বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করছেন।
কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে। স্থায়ীভাবে প্রতি ৩ বছর পরপর একটা ব্যাচ নেবে। আমরা চাইছি যেন সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরও বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এখানে একজন সৈন্যের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারবো। এছাড়া আরও ইস্যু আছে, আমরা কাতারে আরও বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজি’র জন্য এক নম্বর দেশ। কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে।
এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরও অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে।