আলোচনায় শুল্ক জটিলতার সমাধান হবে: ড. ইউনূস

- আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পারিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নীতির অংশ হিসেবে শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবার আশা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।
ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসসকে এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।
বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা এখন আছেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। সেখানেই বাসসের সঙ্গে কথা বলেন তার প্রেস সচিব।
এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে এখন মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫২ শতাংশ।
শফিকুল আলম সকালে এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রযোজ্য শুল্কহার পর্যালোচনা করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্রুততম সময়ে শুল্ক যৌক্তিককরণের বিকল্পগুলো খুঁজে বের করবে, যা এ বিষয়ে কার্যকর সমাধানের জন্য জরুরি।
ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের চলমান আলোচনার মাধ্যমে শুল্কের বিষয়টির সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।
সন্ধ্যায় বাসসের সঙ্গে আলাপে তিনি এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মতামত তুলে ধরেন।
শফিকুল আলম বলেন, এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয়।
প্রেস সচিব দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এমন কিছু করব, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে।”