আমদানি ডিমের সঙ্গে রোগ-জীবাণু এসে বাংলাদেশের পোল্ট্রিশিল্প ধ্বংস করে দেবে: উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৬:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কোন অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাইনা। আমদানি করা ডিমের সঙ্গে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে। একারণে পোল্ট্রিশিল্প টিকতে পারবেনা, ধ্বংস হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক বন্যায় অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, উৎপাদন কমে গেছে, কিন্তু চাহিদা কমেনি। গ্রাহক পর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বলেন,বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোল্ট্রিশিল্পের অবদান কোন অংশে কম নয়। এ সেক্টর আমাদের ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।
পোল্ট্রিশিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, আমাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হয় এ শিল্প থেকে। একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে পোল্ট্রিশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম-মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে।
সবার জন্য নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে কিভাবে সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টাই করতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাই না। ডিম আমদানির সাথে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে, এর ফলে পোল্ট্রিশিল্প টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, শিক্ষক-গবেষক-স্টেকহোল্ডার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।