ছবি: সংগৃহীত
করোনার উচ্চমুখী সংক্রমণের লাগাম টানতে দফায় দফায় ঘোষণা আসে লকডাউনের। সবশেষ এপ্রিলের শুরু থেকেই রাজশাহীসহ সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনার ডেল্টা ধরণ মারাত্মক রূপ নেয়। আক্রান্ত-মৃত্যু রুখতে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথমে ১৪
দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সকল সীমান্ত পথ বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে চালু রাখা হয় আমদানি-রপ্তানি। এরপর কয়ে দফা সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ ১৫ আগস্টের পর সীমান্ত পথ উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১১ আগস্ট থেকে আনলক বার্তায় ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বুধবার থেকে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। ভারতের ভ্রমণ ভিসা ছাড়া ভিসা সব ধরনের আবেদন নেওয়া হবে। এদিন ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন তথা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পাশাপাশি জোরদার করা হয় টিকাকরণ কার্যক্রমে। কঠোর লকডাউন চলাকালীন
সময়ে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ১৪ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়। ২৩ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত টানা কঠোর বিধিনিষেধ চলে।
সরকারী ঘোষণা লকডাউন শিথিলের বার্তা আসার পর পরই মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়ে যায়। চলাচল শুরু হয়েছে জলযানও। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৩০টি রুটে রুটে প্রায় চারশতাধিক লঞ্চ চলাচল করে।
আনলকের ঘোষণার পরপরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে। স্বস্তি নেমে আসে সকল ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে। জেগে ওঠে প্রতিটি বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল। আলোকিত হয়ে ওঠে ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন কমলাপুর।
ভোর থেকেই রিকশা ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলের সঙ্গে জেগে ওঠে ঢাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরানো চেহারায় ফিরতে শুরু করে ঢাকার রাজপথ। মার্কেট, দোকানপাট সকল কিছুই খোলা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়রিা সকাল থেকেই নির্ধারিত জায়গায় প্রসরা সাজিয়ে বসেছেন।
ধূলি উড়ানো রাজপথ ব্যস্ত হয়ে যায়। অবস্থা দেখে কারো ধারণা হবে না একরাতের ব্যবধানে দৃশ্যপট এমন পরিবর্তন।