ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ঢাকায় বিক্ষোভ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণাও দেয় সংগঠনটি। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানায়।

জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন ছাত্র সংসদের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে তারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যে প্রত্যাহার করে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি পুনরায় জোরালো হয়ে ওঠে। এসময় বলা হয়, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে চাইলে এ দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।

শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর আগে ঢাকা সফরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে ড. ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), হেগ-এ মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি।

এ সময় ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। তবে, তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ বিরোধী অপতথ্য প্রচারের একটি বড় অংশ ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে। ড. ইউনূস ব্যাখ্যা করেন যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরে আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ড. ইউনুস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেবে না। তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ঢাকায় বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণাও দেয় সংগঠনটি। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানায়।

জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন ছাত্র সংসদের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে তারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যে প্রত্যাহার করে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি পুনরায় জোরালো হয়ে ওঠে। এসময় বলা হয়, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে চাইলে এ দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।

শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর আগে ঢাকা সফরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে ড. ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), হেগ-এ মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি।

এ সময় ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। তবে, তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ বিরোধী অপতথ্য প্রচারের একটি বড় অংশ ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে। ড. ইউনূস ব্যাখ্যা করেন যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরে আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ড. ইউনুস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেবে না। তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে।