ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইপিএল ভারতে হচ্ছে না : বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা সৌরভের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১ ২৬০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সৌরভ  যতই নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে বলুন না কেন, তিনি নিজেও বুঝছেন ভারতের পরিস্থিতি এ মুহূর্তে খুবই খারাপ। এতটাই খারাপ যে আপাতত দেশের মাটিতে ক্রিকেটের পাট বন্ধ করেই রাখতে হবে তাঁদের। আইপিএল স্থগিত করার সময়  ‘সামনে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে’ বাকি অংশ আয়োজন করে ফেলার কথা বলা হয়েছিল, সেই অবস্থান  থেকেও সরে আসতে হচ্ছে সৌরভদের।

আইপিএল আর ভারতে আয়োজনের কোনো অবস্থা নেই—এটা বিসিসিআই সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও যে ঘোরতর শঙ্কা আছে, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

‘দুবাইয়ে আইপিএল আয়োজন ছিল অনেক কঠিন একটা কাজ। ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতে আয়োজন করতে গিয়েও প্রচুর ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর সব আরও এলোমেলো হয়ে গেছে। সবাই বুঝতে পারছে ক্রিকেট আয়োজন এখন কতটা কঠিন। করোনা মহামারি না গেলে যেকোনো ধরনের ক্রিকেট আয়োজনই কঠিন হয়ে পড়বে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি আছে,’ বলেছেন সৌরভ।

আইপিএল প্রসঙ্গে সৌরভ বাস্তবের জমিতেই পা রাখতে চান, ‘সূচি খুবই ঠাসা। এর মধ্যে কীভাবে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজিত হবে! ইংল্যান্ডের বাকি অংশ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ইংল্যান্ড সফরের পরে ভারত জাতীয় দল শ্রীলঙ্কায় তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এখন কোয়ারেন্টিনের নিয়ম সব দেশেই খুব কড়া। আমি জানি না আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের সুযোগ আমরা আর কবে পাব।’

ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আইপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে ইংলিশ লিগ বা ইউরোপের অন্যান্য লিগের উদাহরণ টানছেন সৌরভ। কিন্তু সেসব লিগে তো খেলোয়াড়েরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর লিগ বন্ধ হয়ে যায়নি। ম্যাচটা পিছিয়ে গেছে। ইংলিশ লিগেই এমন উদাহরণ অনেক আছে, যেখানে দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ম্যাচের আগে পজিটিভ হওয়ার পর খেলা পিছিয়ে গেছে।

পরে সে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌরভ মনে করেন, যেটা ইংলিশ লিগে সম্ভব, সেটা আইপিএলে সম্ভব নয়, ‘ইংলিশ লিগে ম্যাচ পিছিয়ে পরে আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু আইপিএলে সেটি সম্ভব নয়। খেলা সাত দিন পেছালেই ক্রিকেটাররা বাড়ি চলে যাবে। আবার ফেরাতে হলে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে তাদের, যেটি অনেক কঠিন।’

আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়াটা বড় ধাক্কাই দিয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডকে। বিসিসিআইয়ের শতকরা ৬০ ভাগ রোজগারই আসে আইপিএল থেকে। তাই টুর্নামেন্টটি করার পেছনে বা মহামারির ভয়াবহতার মধ্যেও চালিয়ে যাওয়ার পেছনে যে আর্থিক উদ্দেশ্যেই প্রধান ছিল, সেটি না বললেও চলছে। সৌরভ কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, আইপিএল মাঝপথে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপির মতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইপিএল ভারতে হচ্ছে না : বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা সৌরভের

আপডেট সময় : ০৪:১৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

সৌরভ  যতই নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে বলুন না কেন, তিনি নিজেও বুঝছেন ভারতের পরিস্থিতি এ মুহূর্তে খুবই খারাপ। এতটাই খারাপ যে আপাতত দেশের মাটিতে ক্রিকেটের পাট বন্ধ করেই রাখতে হবে তাঁদের। আইপিএল স্থগিত করার সময়  ‘সামনে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে’ বাকি অংশ আয়োজন করে ফেলার কথা বলা হয়েছিল, সেই অবস্থান  থেকেও সরে আসতে হচ্ছে সৌরভদের।

আইপিএল আর ভারতে আয়োজনের কোনো অবস্থা নেই—এটা বিসিসিআই সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও যে ঘোরতর শঙ্কা আছে, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

‘দুবাইয়ে আইপিএল আয়োজন ছিল অনেক কঠিন একটা কাজ। ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতে আয়োজন করতে গিয়েও প্রচুর ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর সব আরও এলোমেলো হয়ে গেছে। সবাই বুঝতে পারছে ক্রিকেট আয়োজন এখন কতটা কঠিন। করোনা মহামারি না গেলে যেকোনো ধরনের ক্রিকেট আয়োজনই কঠিন হয়ে পড়বে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি আছে,’ বলেছেন সৌরভ।

আইপিএল প্রসঙ্গে সৌরভ বাস্তবের জমিতেই পা রাখতে চান, ‘সূচি খুবই ঠাসা। এর মধ্যে কীভাবে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজিত হবে! ইংল্যান্ডের বাকি অংশ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ইংল্যান্ড সফরের পরে ভারত জাতীয় দল শ্রীলঙ্কায় তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এখন কোয়ারেন্টিনের নিয়ম সব দেশেই খুব কড়া। আমি জানি না আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের সুযোগ আমরা আর কবে পাব।’

ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আইপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে ইংলিশ লিগ বা ইউরোপের অন্যান্য লিগের উদাহরণ টানছেন সৌরভ। কিন্তু সেসব লিগে তো খেলোয়াড়েরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর লিগ বন্ধ হয়ে যায়নি। ম্যাচটা পিছিয়ে গেছে। ইংলিশ লিগেই এমন উদাহরণ অনেক আছে, যেখানে দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ম্যাচের আগে পজিটিভ হওয়ার পর খেলা পিছিয়ে গেছে।

পরে সে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌরভ মনে করেন, যেটা ইংলিশ লিগে সম্ভব, সেটা আইপিএলে সম্ভব নয়, ‘ইংলিশ লিগে ম্যাচ পিছিয়ে পরে আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু আইপিএলে সেটি সম্ভব নয়। খেলা সাত দিন পেছালেই ক্রিকেটাররা বাড়ি চলে যাবে। আবার ফেরাতে হলে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে তাদের, যেটি অনেক কঠিন।’

আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়াটা বড় ধাক্কাই দিয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডকে। বিসিসিআইয়ের শতকরা ৬০ ভাগ রোজগারই আসে আইপিএল থেকে। তাই টুর্নামেন্টটি করার পেছনে বা মহামারির ভয়াবহতার মধ্যেও চালিয়ে যাওয়ার পেছনে যে আর্থিক উদ্দেশ্যেই প্রধান ছিল, সেটি না বললেও চলছে। সৌরভ কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, আইপিএল মাঝপথে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপির মতো।