ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘দুই’ ডোজ সারাজীবন সুরক্ষা, গবেষণা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

“বহুরূপী ভাইরাস করোনা নিয়ে চলছে হাজারো গবেষণা, গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তৈরি হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস ব্যবহার করে”

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলায় নিজের রূপ। দিন দিন এটি আরও শক্তিধর হয়ে ওঠছে। বদল হওয়া রূপ আরও প্রবল। বেলাগাম সংক্রমণ। হাসপাতালে জায়গা নেই। অক্সিজেনের অভাব। স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীর যোগানে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

জমে-মানুষে টানাটানি। এর মধ্যেই অচেনা ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানিদের নিরন্তন গবেষণায় বছর না পেরুতেই দুনিয়াজোড়া ছড়িয়ে পড়া ভািইরাসটির প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কার। একেই বলে মানবকল্যাণে বিজ্ঞান। যার বদৌলতে করোনা আক্রান্ত বিশ্ব পেয়েছে জীবন রক্ষার নতুন দিশা।

ষোল মাস পেরিয়ে এসে গবেষণায় বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা দিতে পারে সারাজীবনের সুরক্ষা। সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন,

অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা কভিড-১৯ থেকে আজীবন সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ছাপা হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক নেচার সাময়িকীতে

গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তৈরি হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস ব্যবহার করে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে বেশি কার্যকর হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার পাশাপাশি মানানসই যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা।

তাদের দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাস মানবদেহের গঠনের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত। অ্যাডিনো ভাইরাসের খোলের মধ্যে করোনার স্পাইক প্রোটিন ভরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করা হয়েছে। টিকা নিলে অ্যাডিনো ভাইরাস মানবদেহের ফাইব্রোব্লাস্টিক রেটিকিউলাস সেলে ঢুকে পড়ে।

এ ধরনের কোষ যথেষ্ট দীর্ঘায়ু। তা শরীরে ঢোকার পর ‘আইএল ৩৩ সাইটোকাইনের’ নিঃসরণ ঘটে, যা মানবদেহে থাকা টি-সেলের প্রশিক্ষণের পরিবেশ তৈরি করে দেয়। টি-সেলকে শেখানো

হয়, যে চেহারা নিয়েই করোনা শরীরে প্রবেশ করুক, তাকে চিনে নিয়ে দুর্বল করে দেবে টি-সেল। কোষের ভেতরে এই প্রশিক্ষণ চলতেই থাকে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটি ডোজই একজন মানুষকে করোনা থেকে আজীবন সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

দ্য সান প্রতিবেদনে বলছে, গবেষণালব্ধ ফলকে উদ্ধৃত করে ভারতের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলছেন, এ টিকা নেওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। উদ্দীপ্ত হয়

মেমোরি টি-সেল। সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু রয়ে যায় টি-সেলের সুরক্ষা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ ক্ষেত্রে মডার্না বা ফাইজারের মতো আরএনএ টিকাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘দুই’ ডোজ সারাজীবন সুরক্ষা, গবেষণা

আপডেট সময় : ০১:১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

“বহুরূপী ভাইরাস করোনা নিয়ে চলছে হাজারো গবেষণা, গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তৈরি হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস ব্যবহার করে”

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলায় নিজের রূপ। দিন দিন এটি আরও শক্তিধর হয়ে ওঠছে। বদল হওয়া রূপ আরও প্রবল। বেলাগাম সংক্রমণ। হাসপাতালে জায়গা নেই। অক্সিজেনের অভাব। স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীর যোগানে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

জমে-মানুষে টানাটানি। এর মধ্যেই অচেনা ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানিদের নিরন্তন গবেষণায় বছর না পেরুতেই দুনিয়াজোড়া ছড়িয়ে পড়া ভািইরাসটির প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কার। একেই বলে মানবকল্যাণে বিজ্ঞান। যার বদৌলতে করোনা আক্রান্ত বিশ্ব পেয়েছে জীবন রক্ষার নতুন দিশা।

ষোল মাস পেরিয়ে এসে গবেষণায় বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা দিতে পারে সারাজীবনের সুরক্ষা। সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন,

অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা কভিড-১৯ থেকে আজীবন সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ছাপা হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক নেচার সাময়িকীতে

গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তৈরি হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস ব্যবহার করে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে বেশি কার্যকর হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার পাশাপাশি মানানসই যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা।

তাদের দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাস মানবদেহের গঠনের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত। অ্যাডিনো ভাইরাসের খোলের মধ্যে করোনার স্পাইক প্রোটিন ভরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করা হয়েছে। টিকা নিলে অ্যাডিনো ভাইরাস মানবদেহের ফাইব্রোব্লাস্টিক রেটিকিউলাস সেলে ঢুকে পড়ে।

এ ধরনের কোষ যথেষ্ট দীর্ঘায়ু। তা শরীরে ঢোকার পর ‘আইএল ৩৩ সাইটোকাইনের’ নিঃসরণ ঘটে, যা মানবদেহে থাকা টি-সেলের প্রশিক্ষণের পরিবেশ তৈরি করে দেয়। টি-সেলকে শেখানো

হয়, যে চেহারা নিয়েই করোনা শরীরে প্রবেশ করুক, তাকে চিনে নিয়ে দুর্বল করে দেবে টি-সেল। কোষের ভেতরে এই প্রশিক্ষণ চলতেই থাকে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটি ডোজই একজন মানুষকে করোনা থেকে আজীবন সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

দ্য সান প্রতিবেদনে বলছে, গবেষণালব্ধ ফলকে উদ্ধৃত করে ভারতের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলছেন, এ টিকা নেওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। উদ্দীপ্ত হয়

মেমোরি টি-সেল। সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু রয়ে যায় টি-সেলের সুরক্ষা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ ক্ষেত্রে মডার্না বা ফাইজারের মতো আরএনএ টিকাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।