অবিক্রিতই থাকলো হাজারো গরু

- আপডেট সময় : ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
করোনা মহামারিতেও ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে বিপুল পরিমাণের কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছিলো। কিন্তু তার একটা বড় অংশ অবিক্রিত থেকে গিয়েছে। ভালো দামের আশায় উত্তরবঙ্গের খামারি ও ব্যবসায়ীরা ট্রাক ভাড়া করে এসব গরু নিয়ে আসেন। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পেয়ে ঈদের দিন হাজার হাজার গরু ফেরত নিয়ে যান।
ব্যবসায়ীরা জানান, দুই তিন বছর ধরে গরুগুলো লালন পালনে যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, তার অর্ধেকও দামও ওঠেনি এবারে।
কোরবানির হাট থেকে এবারেই যে গরু ফেরত গেল তা কিন্তু নয়। স্বাভাবিক সময়েও গরুর দাম না ওঠায় ব্যবসায়ীরা গরু ফেরত নিয়ে গিয়েছে।

প্রায় ১৬ মাসের অধিক বিশ্বমহামারি চলছে। একারণে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। বহু মানুষের কর্মহীন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের চাকা প্রায় স্থবির। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এসব কারণে একক কোরবানির সংখ্যা কমেছে।
বহু মানুষ দুই কোরবানির ঈদে শরিকে কোরবানি দিতে বাধ্য হয়েছেন। এসব প্রভাবে বাজার মন্দা। অনেকে পূঁজির অভাবে ব্যবসায় পরিচালনা পর্যন্ত করতে পারছে না।
অপর দিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারী উদ্যোগে ২৪১টি ডিজিটাল হাটের ব্যবস্থা করা হয়। এসব হাটে ২২৫ কোটি টাকার বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। এরও প্রভাব পড়েছে এবারের কোরবানির হাটে।

ঈদের দিন সকাল থেকে মহাসড়কে শত শত ট্রাক-পিকআপে হাজারো গরু ফেরত নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে অসংখ্য খামারি ও ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজারো পশু ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে তোলেন। বিক্রি না হওয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।