অপহরণের পর নগ্ন ভিডিও করতো, সংঘবদ্ধ চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ১০:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
চাঞ্চল্যকর ঘটনা! নারী-পুরুষের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা বিভিন্ন স্থানে কৌশলে মেয়ে ও পুরুষদের অপহরণ করে নিজের অবস্থানকৃত ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতো এবং মাদক সেবন করিয়ে তাদে নগ্ন ছবি-ভিডিও করা হতো। এমন চক্রের পান্ডাসহ ৫সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে অপহৃতদের মাদক সেবনে বাধ্য করা হতো। এ ছাড়া বায়িং হাউসে নিয়োগ দেওয়া মেয়েদের দিয়েও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করা হতো চক্রের সদস্যরা। এসব ভিডিও দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেল করা হতো।
ঢাকার উত্তরা এলাকায় এক ছাত্রীকে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে নগ্ন ভিডিও ও ছবি তোলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বায়িং হাউসের কর্মী। অপহরণ চক্রে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকার এক কলেজছাত্রীকে তার পূর্বপরিচিত মাসুম পারভেজ নামের এক যুবক গত সোমবার উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নেন। এরপর সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে সেখানে আটকে রেখে নগ্ন ভিডিও করেন ও ছবি তোলেন। অপহরণকারীরা ভিডিও তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান।
কলেজছাত্রীর মা ঘটনাটি উত্তরা পশ্চিম থানায় জানালে পুলিশ গত বুধবার বিকেলে ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত মাসুম পারভেজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায়।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে শুধু ছাত্রীই নন, এখানে বায়িং হাউসের আড়ালে মেয়েদের অপহরণের পর নগ্ন করে ভিডিও এবং ছবি তুলে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল চক্রটি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা এক কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০টি ইয়াবা বড়ি, দুটি সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা এবং তিনটি মুঠোফোন ফোন উদ্ধার করা হয়।
এরপর কলেজছাত্রীর মা ঘটনাটি পুলিশকে জানান উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার একদল পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে। বুধবার বিকেলে পুলিশ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে।