ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব পুরুষ আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন তামিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক যুগের অগ্নিকাণ্ড ঢাকার প্রধান বিমানবন্দরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ-উত্তেজনা,  মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঘটনায় ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিশাখাপত্তনমে খুলছে ভারতের দীর্ঘতম গ্লাস স্কাইওয়াক, আকাশ, পাহাড় আর সমুদ্র মিলবে এক সেতুবন্ধনে ঢাকায় মানসম্মত বায়ুমান কবে ফিরবে? অস্বাস্থ্যকর বাতাসে বন্দি এক নগরী টমাহক নয়, শান্তির পথে ট্রাম্প: রাশিয়ার শর্তেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৪০ জুলাই সনদ:  বাংলাদেশের ইতিহাস, আন্দোলন-গণতন্ত্রের নতুন মাইলফলক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু: ড. ইউনূস

Mahmuda Sultana : মাহমুদা সুলতানা’র কবিতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২ ৪২০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাধীনতা তুমি

স্বাধীনতা তুমি দেখতে কেমন?
তুমি তো আমার স্বাধীনতা।

তবে তোমাকে আমি দেখতে পারিনা কেন?
তুমি কোথায় লুকিয়ে আছে
ঐ বাজারের
নিত্যপন্যের দরের শরমের
আড়ালে?

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে তোমাকে
ছিনিয়ে এনেছি বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবো বলে।
বাজার দরের ভয়ে লুকিয়ে থাকার জন্য নয়।

স্বাধীনতা তুমি কি গণতন্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে আছো?
গণতন্ত্র একটু অসুস্থ তবে এই এল বলে।
সূর্যের মত প্রবল শক্তি নিয়ে।

স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্ত
মায়ের চোখের জল বোনের সম্ভাম জলাঞ্জলির বিনিময়ে পেয়েছ।
স্বাধীনতা তুমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেটে বসে কাদঁছো কোন?
আহ! ঘুষ খোরের শরমে তুমি লুকিয়ে কেন?

তুমি লুকিয়ে নয় মাথা উঁচু করে থাকবে সব জঞ্জাল সাফ করে।
দুখিনী মা কাঁদে তুমি বেরিয়ে আসো
তোমার বজ্র কঠিন কন্ঠ নিয়ে
তর্জনী উঁচুয়ে।

১১/৩/২২

(চলার সঙ্গে ভাবনার মিল হলেই অনায়াসে কাজটা সেরে নিতে পারেন। শৈশবকাল থেকেই লেখালেখির জগতে বিচরণ। গীটার তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। কোন কিছু ভেবে নিয়ে অনায়াসে লিখে যেতে পারেন বিরামহীন। মাহমুদা সুলতানা একাধারে লেখক, সমাজচিন্তক, গীটার বাদক, বাদিকশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক জগতের বাসিন্দা। মুক্তমনা এই লেখক আলোকিত সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। তার লেখার মাধ্যমে সমাজের মলিনতা দূর করতেই নিরন্তন কাজ করে চলেছেন। অগ্রসর চিন্তা নিয়ে সমাজের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনীটা মজবুত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। লেখার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী সমাজের অংশ গ্রহন আলাদা কোন বিষয় নয়, বরং এক কাতারেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি সমাজের শুভবোধের সারথী)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahmuda Sultana : মাহমুদা সুলতানা’র কবিতা

আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

স্বাধীনতা তুমি

স্বাধীনতা তুমি দেখতে কেমন?
তুমি তো আমার স্বাধীনতা।

তবে তোমাকে আমি দেখতে পারিনা কেন?
তুমি কোথায় লুকিয়ে আছে
ঐ বাজারের
নিত্যপন্যের দরের শরমের
আড়ালে?

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে তোমাকে
ছিনিয়ে এনেছি বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবো বলে।
বাজার দরের ভয়ে লুকিয়ে থাকার জন্য নয়।

স্বাধীনতা তুমি কি গণতন্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে আছো?
গণতন্ত্র একটু অসুস্থ তবে এই এল বলে।
সূর্যের মত প্রবল শক্তি নিয়ে।

স্বাধীনতা তুমি আমার ভাইয়ের রক্ত
মায়ের চোখের জল বোনের সম্ভাম জলাঞ্জলির বিনিময়ে পেয়েছ।
স্বাধীনতা তুমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেটে বসে কাদঁছো কোন?
আহ! ঘুষ খোরের শরমে তুমি লুকিয়ে কেন?

তুমি লুকিয়ে নয় মাথা উঁচু করে থাকবে সব জঞ্জাল সাফ করে।
দুখিনী মা কাঁদে তুমি বেরিয়ে আসো
তোমার বজ্র কঠিন কন্ঠ নিয়ে
তর্জনী উঁচুয়ে।

১১/৩/২২

(চলার সঙ্গে ভাবনার মিল হলেই অনায়াসে কাজটা সেরে নিতে পারেন। শৈশবকাল থেকেই লেখালেখির জগতে বিচরণ। গীটার তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। কোন কিছু ভেবে নিয়ে অনায়াসে লিখে যেতে পারেন বিরামহীন। মাহমুদা সুলতানা একাধারে লেখক, সমাজচিন্তক, গীটার বাদক, বাদিকশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক জগতের বাসিন্দা। মুক্তমনা এই লেখক আলোকিত সমাজ গঠনে বিশ্বাসী। তার লেখার মাধ্যমে সমাজের মলিনতা দূর করতেই নিরন্তন কাজ করে চলেছেন। অগ্রসর চিন্তা নিয়ে সমাজের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনীটা মজবুত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। লেখার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী সমাজের অংশ গ্রহন আলাদা কোন বিষয় নয়, বরং এক কাতারেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি সমাজের শুভবোধের সারথী)