ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এই সপ্তাহেই নির্বাচনি তফসিল, ভোটের সময় বাড়ছে এক ঘণ্টা শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনের দাবি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঢাকায় মৈত্রী দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন-সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে তারেকের নেতৃত্বেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি : আমির খসরু গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ আসিম মুনিরের হাতে পাকিস্তানের পরমাণু ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ শীতের মহাজন পঞ্চগড়ে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

Bangladesh Film Festival in Agartala : আগরতলায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা : ড. হাছান মাহমুদ 

নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে দু’দেশের শত্রুরা কখনও সফল হতে পারবে না : বিপ্লব কুমার দেব

 

ভয়েস রিপোর্ট

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান বাংলাদেশ কখনও ভুলবে না এবং তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। বুধবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় বলে মন্ত্রী উল্লেখ ড. হাছান।

বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী গৌহাটিতে ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের’ উদ্বোধন করবেন। আগরতলা ও গৌহাটি দুই শহরে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক, গৌহাটিতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কেন্দ্র ও আসাম-নেপাল মন্দিরে ইন্দো-বাংলা জামদানি প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে। ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ভারতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নুরাল ইসলাম এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে বলেন, বিশ্বে আজ বাংলাদেশের মানুষেরা বুক টান করে হাঁটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে দু’দেশের শত্রুরা কখনও সফল হতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছর একাত্তর সালেই আমার জন্ম। সেকারণে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে আমার জন্মের একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম বিদেশ সফর হবে বাংলাদেশে।

এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক ‘শেখ হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকে বসেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Bangladesh Film Festival in Agartala : আগরতলায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা : ড. হাছান মাহমুদ 

নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে দু’দেশের শত্রুরা কখনও সফল হতে পারবে না : বিপ্লব কুমার দেব

 

ভয়েস রিপোর্ট

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান বাংলাদেশ কখনও ভুলবে না এবং তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। বুধবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় বলে মন্ত্রী উল্লেখ ড. হাছান।

বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী গৌহাটিতে ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের’ উদ্বোধন করবেন। আগরতলা ও গৌহাটি দুই শহরে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক, গৌহাটিতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কেন্দ্র ও আসাম-নেপাল মন্দিরে ইন্দো-বাংলা জামদানি প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে। ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ভারতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নুরাল ইসলাম এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে বলেন, বিশ্বে আজ বাংলাদেশের মানুষেরা বুক টান করে হাঁটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে দু’দেশের শত্রুরা কখনও সফল হতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছর একাত্তর সালেই আমার জন্ম। সেকারণে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে আমার জন্মের একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম বিদেশ সফর হবে বাংলাদেশে।

এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক ‘শেখ হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকে বসেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।