BANGLADESH : বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তর হার আশঙ্কাজনক

- আপডেট সময় : ০৫:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২১৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সপ্তম ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ : ছবি সংগ্রহ
‘ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে আসা রোগীদের ৫৫ ভাগই পুরুষ, এবং ৪৫ শতাংশ নারী। নারী-পুরুষ উভয়ের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। যার শতকরা হার ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ’
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হলেও অধিকাংশ রোগী থাকছে শনাক্তের বাইরে। শনাক্ত রোগীর মধ্যে পুরুষদের ফুসফুস এবং নারীদের স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
ঢাকায় ক্যান্সার আক্রান্তর হার বেশি। স্থানভিত্তিক জনমিতি মূলক গবেষণা দরকার বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন নতুন রোগী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ৭৩৩ জনের ক্যান্সার শনাক্ত করেছে। ক্যান্সার শনাক্তর হার ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ।
নারী-পুরুষ উভয়ের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। যার শতকরা হার ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আর লিঙ্গভেদে পুরুষ ক্যান্সার রোগীদের সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সার পাওয়া যায়। আর নারীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ ক্যান্সার রোগী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
বুধবার ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সপ্তম ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের এপিডেমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে আসা রোগীদের ৫৫ ভাগই পুরুষ, এবং ৪৫ শতাংশ নারী।
আলোচনায় অংশ নেন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামুল হক এবং অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম এবং অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।
অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতীয়ভাবে একবার জনসংখ্যাভিত্তিক গবেষণা করেছিল, এরপর আর হয়নি। নতুন করে গবেষণা করতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। এটি হওয়া জরুরি। কিন্তু তার জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একটি গবেষণা মানে রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে তার অবস্থা কোন পর্যায়ে, কোথায় গিয়ে থামতে পারে সব লিপিবদ্ধ করা। যেটি অনেক বেশি কঠিন।
অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাসও ক্যান্সারের বড় একটি কারণ। চিকিৎসাসেবার উন্নয়ন হলেও ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ইনস্টিটিউট। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। কিন্তু যারা করবেন তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।