স্বার্থান্বেষী মহল ভিডিপি সদস্যদের উসকানি দিচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৮:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) গঠিত হয় এবং ১৯৯৫ সালের ভিডিপি আইনের মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামো পায় এবং জনসেবায় কার্যকরভাবে অবদান রাখার সুযোগ লাভ করে।
কিন্তু বাহিনীর কিছু সদস্যকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তের করার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে তাদের নিয়োগের ধরন, মূল কাজ এবং বাহিনী থেকে আইনগত অধিকার বিষয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উসকানি দিচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) গণসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, সকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যকে আইনসিদ্ধ নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার জন্য এবং বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদর দপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) দেশের সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হিসেবে আর্থসামাজিক উন্নয়নে অব্যাহতভাবে অবদান রেখে চলেছে। ভিডিপি গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামভিত্তিক স্বনির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠা, সামাজিক উন্নয়ন এবং জননিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ভূমিকা রাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত এপ্রিলে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা স্বেচ্ছাসেবী ভিডিপি সদস্যদের দায়িত্বের পরিধি, নিয়োগ এবং মেয়াদ স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। এ নীতিমালার মাধ্যমে ভিডিপির মূল চেতনার সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ডকে আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে।
৮০- এর দশকে খাল খনন, কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সামাজিক সুরক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ভিডিপি সদস্যরা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।
অপারেশন রেলরক্ষা, অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াতসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে ভিডিপির স্বেচ্ছাসেবীরা জনগণের পাশে থেকে সুনাম অর্জন করেছে।
নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন বা নির্দিষ্ট সময়ে ভাতাভিত্তিক দায়িত্বের মধ্যে তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ না রেখে, তারা জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ভিডিপি বাহিনীর কিছু সদস্যকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে, বিশেষ করে তাদের নিয়োগের ধরন, মূল কাজ এবং বাহিনী থেকে আইনগত অধিকার বিষয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উসকানি দিচ্ছে। সকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যকে আইনসিদ্ধ নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার জন্য এবং বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।