সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল: প্রার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা
- আপডেট সময় : ০৬:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, জামানত ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র–২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এ উপলক্ষে মনোনয়ন দাখিলে প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম–কানুন অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সরিঅ-’ চিহ্ন দিয়ে ক্রমিক নম্বর দিতে হবে। একই সঙ্গে দাখিলকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ এবং মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে নোটিশ প্রদান করতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২–এর ১২ অনুচ্ছেদ এবং সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরা রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি ফরম–১ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন।
প্রার্থী ছাড়াও প্রস্তাবকারী বা সমর্থক মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। নির্ধারিত দিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে। তবে ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার পর আর কোনো মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে না।
প্রতিটি প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ৫০ হাজার টাকা নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে–অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে জমা দিতে হবে। একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলেও একটি জামানতই যথেষ্ট, তবে অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে মূল চালানের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য ব্যাংক/সরকারি ট্রেজারিতে নির্ধারিত কোডে জমা দিতে হবে।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থককে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে এবং অন্য কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে তারা স্বাক্ষর দিতে পারবেন না। দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কিংবা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট, প্রস্তাবকারী ও সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারবেন। ছোটখাটো ত্রুটির জন্য মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনযোগ্য ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে, তবে হলফনামার তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না।
মনোনয়ন গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ৫ থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে।
এ ছাড়া ঋণ খেলাপি যাচাই, আচরণবিধি সংক্রান্ত অঙ্গীকারনামা দাখিল এবং তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর খোলা রাখার বিষয়েও অতিরিক্ত নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।























