শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জাতীয় কবিকে স্মরণ
- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, ছবি: সংগ্রহ
সকালের ফুরফুরে বাতাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশের চত্বরে কবির সমাধি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বাঙালির কবিকে যে সুশিতল ছায়া দিয়ে রেখেছে প্রকৃতি। ফুলের বাগান, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। যে কোন মানুষ একবারে সেখানে পৌঁছালে শ্রদ্ধায় মাতা নত হয়ে আসে।
পাশের পথে কোন ব্যক্তি চলার পথে একনজর দেখে নেন জাতীয় কবির সমাধি। এসময় শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়ে যান কবিকে।
প্রয়ান দিবসে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে কবির সমাধি ঘিরে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে কবির সমাধি। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও সস্কৃতিক মন্ত্রক, আওয়ামী লীগ, নজরুল একাডেমি, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুলকে নিয়ে বছরব্যাপী কাজ করা
সংগঠন ‘বাঁশরী’, বিএনপি, ন্যাপসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের তরফে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে এ শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
বরাবরের মতো কবির পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, কবি নজরুল সাহিত্য মঞ্চ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, ছাত্রদল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, ন্যাপ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সকাল সোয়া ৭ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড.
একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভুইয়া, বাংলাবিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সহকারী প্রক্টর ড. আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের এদিনে প্রয়াত হন চিরতারুণ্যের প্রতীক এই কবি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।
১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। তার জীবনকাল ৭৮ বছর হলেও ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘ ৩৪ বছর তিনি অসহনীয় নির্বাক জীবন কাটিয়েছেন।