রোহিঙ্গা শিবিরেঅপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী যুক্ত যৌথ অভিযান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের কক্সবাজারে ৩৪টি শিবিরে প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের এসব নাগরিক সেনাবাহিনীর অত্যাচারে ২০১৭ সালে এখানে এসে আশ্রয় নেয়।
মানবতার আশ্রয় কেন্দ্র ঘিরে অপহরণ, হত্যা, গোলাগুলি, মাদক ও মানব পাচার ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী যুক্ত করে যৌথ অভিযান চালানো হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সমন্বয় ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত ও অপতৎপরতা বাড়ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যেন ক্যাম্পের ভেতরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকতে না পারে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমসাদুজ্জামান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে।
ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারে, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া এবং ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা আছে যা আরো জোরদার করা হবে। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।