ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাসীর জন্য টিকা উন্মুক্ত চান শেখ হাসিনা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেখ হাসিনা ফাইল ছবি

‘১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩৫ মিলিয়নের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে’

টিকার স্বত্ব কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের হাতে না রেখে বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোয়াইট হাউস সামিটে অংশ নিয়ে বর্তমান

মহামারি করোনা লড়াইয়ে গতি আনতে এই দাবি জানিয়েছেন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় টিকা প্রধান অস্ত্র হয়ে এলেও এর মেধাস্বত্ব গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিস্থিতি মোকাবেলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকা ধনী-গরিব

বৈষম্য প্রকটও করে তুলছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্যকর টিকা প্রদান নিশ্চিতে করোনা ভ্যাকসিনগুলো গ্লোবাল পাবলিক গুড হিসাবে ঘোষণা করা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইনের আয়োজনে এক সম্মেলনে এই দাবি তোলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইর্য়ক সফর করছেন শেখ হাসিনা। মহামারী অবসান এবং

অধিকতর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার হোয়াইট হাউজ আয়োজিত এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য, উন্নয়নশীল ও এলডিসি দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি অবশ্যই দিতে হবে। বক্তব্যের শুরুতে

এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

হোয়াইট হাউস সামিটে করোনা ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক জনসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করতে এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের করোনা টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিতে ফের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারি সংকট মোকাবিলা করে জীবন বাঁচানো, জীবিকায় সহায়তা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশে ত্রিমাত্রিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা

পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, সরঞ্জাম, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বরাদ্দ করে মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই।

এরপর মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি দ্রুত অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, দরিদ্র, বৃদ্ধ, বিধবা, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন

উপকারভোগীর মধ্যে ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা বিতরণ করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩৫ মিলিয়নের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ তিনটি বিষয়ে মনোনিবেশ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেট কর্মসূচির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক

প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বন নিঃসরণ প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ববাসীর জন্য টিকা উন্মুক্ত চান শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

শেখ হাসিনা ফাইল ছবি

‘১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩৫ মিলিয়নের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে’

টিকার স্বত্ব কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের হাতে না রেখে বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোয়াইট হাউস সামিটে অংশ নিয়ে বর্তমান

মহামারি করোনা লড়াইয়ে গতি আনতে এই দাবি জানিয়েছেন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় টিকা প্রধান অস্ত্র হয়ে এলেও এর মেধাস্বত্ব গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিস্থিতি মোকাবেলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকা ধনী-গরিব

বৈষম্য প্রকটও করে তুলছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্যকর টিকা প্রদান নিশ্চিতে করোনা ভ্যাকসিনগুলো গ্লোবাল পাবলিক গুড হিসাবে ঘোষণা করা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইনের আয়োজনে এক সম্মেলনে এই দাবি তোলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইর্য়ক সফর করছেন শেখ হাসিনা। মহামারী অবসান এবং

অধিকতর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার হোয়াইট হাউজ আয়োজিত এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য, উন্নয়নশীল ও এলডিসি দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি অবশ্যই দিতে হবে। বক্তব্যের শুরুতে

এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

হোয়াইট হাউস সামিটে করোনা ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক জনসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করতে এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের করোনা টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিতে ফের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারি সংকট মোকাবিলা করে জীবন বাঁচানো, জীবিকায় সহায়তা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশে ত্রিমাত্রিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা

পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, সরঞ্জাম, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বরাদ্দ করে মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই।

এরপর মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি দ্রুত অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, দরিদ্র, বৃদ্ধ, বিধবা, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন

উপকারভোগীর মধ্যে ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা বিতরণ করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩৫ মিলিয়নের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ তিনটি বিষয়ে মনোনিবেশ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেট কর্মসূচির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক

প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বন নিঃসরণ প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।