ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বিস্তৃত সংস্কার : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএফপিতে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত অন্তর্ভূক্তিমূলক সুরক্ষার অভাবে বাড়ছে শিশুদের অনলাইন যৌন শোষণ এই সপ্তাহেই নির্বাচনি তফসিল, ভোটের সময় বাড়ছে এক ঘণ্টা শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনের দাবি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঢাকায় মৈত্রী দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন-সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে

নাব্যতা সংকটে ৪ দিন আটকে থাকার পর পশুর চ্যানেলে বিদেশি দুই জাহাজ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১ ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

নাব্যতা সংকটে সঠিক সময়ে মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারছে না বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। এরই মধ্যে চারদিন আটকে থাকার পর মঙ্গলবার মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে প্রবেশ করলো দু’টো

বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার হারবাড়িয়া-৮ ও টুভ্যালু’র পতাকাবহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করেছে।

নাব্যতা সংকটের কারণে চারদিন ধরে বন্দর চ্যানেলের বহিঃনোঙ্গর আটকে পড়ে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাপটের জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও মোংলা বন্দরে

আসা জাহাজ দুইটি ছিল সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। ঘটনাস্থলের নাব্যতা সংকট নিরসনে ৩ অক্টোবর একটি হোপার ড্রেজার পাঠিয়ে সেখানে খনন করা হয়। এরপর জাহাজ দুইটি

হাড়বাড়িয়ায় ওঠে আসে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরে ২৩ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯ দশমিক ৩ মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার জাহাজ মোংলা বন্দর থেকে ৭১ নটিক্যাল মাইল দূরে বন্দরের হিরণপয়েন্টের

পাইলট স্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্টিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে ৯ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করার পর জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এরপর বর্ষা মৌসুমে

আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠিয়ে ড্রেজিংয়ের পর এদিন দুপুরে বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করেছে।

বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মো. শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরে ২০২০ সালের

ডিসেম্বরে আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুনরায় খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে বন্দর চ্যানেলে পণ্যবাহী জাহাজ দু’টিকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাব্যতা সংকটে ৪ দিন আটকে থাকার পর পশুর চ্যানেলে বিদেশি দুই জাহাজ

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১

ছবি সংগ্রহ

নাব্যতা সংকটে সঠিক সময়ে মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারছে না বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। এরই মধ্যে চারদিন আটকে থাকার পর মঙ্গলবার মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে প্রবেশ করলো দু’টো

বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার হারবাড়িয়া-৮ ও টুভ্যালু’র পতাকাবহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করেছে।

নাব্যতা সংকটের কারণে চারদিন ধরে বন্দর চ্যানেলের বহিঃনোঙ্গর আটকে পড়ে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাপটের জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও মোংলা বন্দরে

আসা জাহাজ দুইটি ছিল সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। ঘটনাস্থলের নাব্যতা সংকট নিরসনে ৩ অক্টোবর একটি হোপার ড্রেজার পাঠিয়ে সেখানে খনন করা হয়। এরপর জাহাজ দুইটি

হাড়বাড়িয়ায় ওঠে আসে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরে ২৩ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ৯ দশমিক ৩ মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সিএস ফিউচার জাহাজ মোংলা বন্দর থেকে ৭১ নটিক্যাল মাইল দূরে বন্দরের হিরণপয়েন্টের

পাইলট স্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্টিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে ৯ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করার পর জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এরপর বর্ষা মৌসুমে

আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠিয়ে ড্রেজিংয়ের পর এদিন দুপুরে বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করেছে।

বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মো. শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরে ২০২০ সালের

ডিসেম্বরে আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটি পুনরায় খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে বন্দর চ্যানেলে পণ্যবাহী জাহাজ দু’টিকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।