কয়েক দশকের পর সরাসরি আলোচনায় লেবানন–ইসরায়েল
- আপডেট সময় : ০৮:২১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
কয়েক দশকের দীর্ঘ বিরতির পর প্রথমবারের মতো লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনায় বসেছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) ইসরায়েল সীমান্তের কাছে লেবাননের নাকোরায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকটি বর্তমানে ‘চলমান’।
হিজবুল্লাহর সাথে বছরের পর বছর ধরে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবেই এই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি মরগান ওর্টাগাস।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী, লেবাননের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইমন কারাম। অপরদিকে, ইসরায়েলের হয়ে আলোচনায় উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তা উরি রেসনিক।
এদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানান, প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধান গিল রেইচকে লেবাননের সরকারি ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এটি দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি তৈরির ‘প্রাথমিক প্রচেষ্টা’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে লেবানন এবার সামরিক প্রতিনিধি নয়, বেসামরিক প্রতিনিধিকে আলোচনায় পাঠিয়েছে। চাপের মুখে ইসরায়েলও তাদের প্রতিনিধিদলে একজন অ-সামরিক সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে বৈরুত নিশ্চিত করেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় নাকোরায় পরোক্ষ আলোচনা হয়েছিল।
বর্তমান বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার বড় ধরনের অভিযান নিয়ে ভাবছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবানন–ইসরায়েল সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।
আইডিএফ অভিযোগ করেছে, হিজবুল্লাহ ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থানে বিমান হামলা বাড়িয়েছে। বৈরুতে এক বিরল হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষকর্মী নিহত হন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে দক্ষিণ লেবানন ছাড়ার কথা ছিল এবং ইসরায়েলকে ৬০ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ পোস্ট থেকে সরে যেতে বলা হয়। আইডিএফ জানিয়েছে, শত শত বিমান হামলার পাশাপাশি সেনারা দক্ষিণ লেবাননে ১ হাজার ২০০-র বেশি স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে, যেখানে অস্ত্র, রকেট নিক্ষেপ কেন্দ্র ও অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
লেবানন কর্তৃপক্ষ জানায়, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন; নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

















