ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাসিনা সরকারের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে জুলাই আন্দোলনের পর জব্দ করা অর্থ জনকল্যানে ব্যয় করা হবে ভারতীয় দালালির চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়েছে আওয়ামী লীগ: মামুনুল হক ভারতের বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান গভীর রাতে ঢাকাসহ যে ১৫ অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির আভাস বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল গ্রেপ্তার ভারত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে ১৭জন আটক ফারাক্কাই দায়ী: বরেন্দ্র অঞ্চল কারবালায় পরিণত : ফরিদা আখতার ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল ছিল না, ছিল আন্দোলন : গোলাম মোস্তফা 

২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করল ভারত বায়োটেক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০ ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ব্যাপক আকারে তাদের কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিন’ এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। ভারতে পরিচালিত সর্ববৃহৎ কার্যকারিতা পরীক্ষা এবং কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য সংস্থাটি মোট ২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীদের তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।

ট্রায়ালের অংশ হিসেবে, আগামী কয়েক মাসে দেশব্যাপী ২৫টি ট্রায়াল সাইটের মাধ্যমে ২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীকে তালিকাভুক্ত করা হবে। তারপরে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় ২৮ দিনের ব্যবধানে  টিকার দুইটি ডোজ নেবেন।

এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের দৈবচয়নের মাধ্যমে কোভ্যাকসিনের দু’টি ৬ মাইক্রোগ্রাম (এমসিজি) ইনজেকশন বা দুইটি প্লাসেবো শট পাওয়ার জন্য সমানভাবে বিভক্ত করা হবে। সংস্থাটির একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রায়ালের ব্যাপারে  গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে, যেমন- তদন্তকারী, স্বেচ্ছাসেবী এবং কোম্পানির কেউই জানবেন না কাকে কোন গ্রুপে রাখা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ১ম ও ২য় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এক হাজার অংশগ্রহণকারীদের উপর কোভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সংস্থাটি বলেছে যে, তাতে আশাব্যঞ্জক সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখিয়েছে ভ্যাকসিনটি। সরকারের ক্লিনিকাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি সম্পর্কিত তথ্য অনুসারে, ২৫টি সাইটের মধ্যে আটটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য তাদের নিজ নিজ নৈতিকতা কমিটি থেকে অনুমোদন পেয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল মানদণ্ড অনুসারে, প্রতিটি ট্রায়াল সাইটের নিজস্ব নৈতিকতা কমিটি রয়েছে যা পরিচালিত ট্রায়ালটি নৈতিকতা এবং গবেষণা প্রটোকল মেনে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে।

বুধবার আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) উপাচার্য তারিক মনসুর বলেন যে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রায়ালের জন্য প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ট্রায়াল প্রটোকল অনুসারে, একটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রথমে এটি দেখা হবে যে, দুই ডোজ শট কোনও রোগীকে কোভিড -১৯ এর লক্ষণগুলি বিকাশ করতে বাধা দিতে পারে কিনা। দ্বিতীয়ত, কোনও রোগীর মধ্যে রোগের গুরুতর লক্ষণগুলি ও মৃত্যু এড়াতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা পরিমাপ করা হবে।

ভারত বায়োটেকের নির্বাহী পরিচালক সাই প্রসাদ গত মাসে বলেছিলেন যে, সংস্থাটি আগামী বছরের জুনের মধ্যে  তার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনটি চালু করার পরিকল্পনা করেছে, যদি না সরকার এর আগে এই ভ্যাকসিনটিকে আগেকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ভিত্তিতে জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কার্যকারিতা তথ্য যদি ইতিবাচক হয় তবে এটি ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে চালু করা হতে পারে। তাহলে এটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের পরে ভারতে চালু হওয়া দ্বিতীয় টিকা হবে।

প্রসাদ জানিয়েছিলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় সংস্থাটি প্রায় ১৫০ কোটি রুপী এবং একটি নতুন প্ল্যান্ট (যা ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে) স্থাপনে আরও ১২০-১৫০ কোটি রুপী ব্যয় করছে। ভারত বায়োটেক তাদের হায়দ্রাবাদ প্ল্যান্টে নিজ দায়িত্বে কিছু ডোজ উৎপাদন করতে শুরু করেছে, যার বর্তমান বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডোজ। নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের পাশাপাশি সংস্থাটি কোভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য তৃতীয় একটি স্থাপনা ব্যবহার করতে চেষ্টা করছে।

“হায়দ্রাবাদে আমাদের প্ল্যান্টের মতো আরেকটি বৃহৎ আকারের প্ল্যান্ট আমরা অন্য শহরেও তৈরির চেষ্টা করছি যেগুলোর (পুরাতন ও নতুন প্ল্যান্ট) মাধ্যমে আমরা কোভ্যাকসিন উৎপাদন বছরে ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়নে উন্নীত করব,” প্রসাদ বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করল ভারত বায়োটেক

আপডেট সময় : ০৩:৪০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ব্যাপক আকারে তাদের কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিন’ এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। ভারতে পরিচালিত সর্ববৃহৎ কার্যকারিতা পরীক্ষা এবং কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য সংস্থাটি মোট ২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীদের তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।

ট্রায়ালের অংশ হিসেবে, আগামী কয়েক মাসে দেশব্যাপী ২৫টি ট্রায়াল সাইটের মাধ্যমে ২৬ হাজার অংশগ্রহণকারীকে তালিকাভুক্ত করা হবে। তারপরে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় ২৮ দিনের ব্যবধানে  টিকার দুইটি ডোজ নেবেন।

এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবীদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের দৈবচয়নের মাধ্যমে কোভ্যাকসিনের দু’টি ৬ মাইক্রোগ্রাম (এমসিজি) ইনজেকশন বা দুইটি প্লাসেবো শট পাওয়ার জন্য সমানভাবে বিভক্ত করা হবে। সংস্থাটির একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রায়ালের ব্যাপারে  গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে, যেমন- তদন্তকারী, স্বেচ্ছাসেবী এবং কোম্পানির কেউই জানবেন না কাকে কোন গ্রুপে রাখা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ১ম ও ২য় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এক হাজার অংশগ্রহণকারীদের উপর কোভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সংস্থাটি বলেছে যে, তাতে আশাব্যঞ্জক সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখিয়েছে ভ্যাকসিনটি। সরকারের ক্লিনিকাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি সম্পর্কিত তথ্য অনুসারে, ২৫টি সাইটের মধ্যে আটটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য তাদের নিজ নিজ নৈতিকতা কমিটি থেকে অনুমোদন পেয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল মানদণ্ড অনুসারে, প্রতিটি ট্রায়াল সাইটের নিজস্ব নৈতিকতা কমিটি রয়েছে যা পরিচালিত ট্রায়ালটি নৈতিকতা এবং গবেষণা প্রটোকল মেনে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে।

বুধবার আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) উপাচার্য তারিক মনসুর বলেন যে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রায়ালের জন্য প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ট্রায়াল প্রটোকল অনুসারে, একটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রথমে এটি দেখা হবে যে, দুই ডোজ শট কোনও রোগীকে কোভিড -১৯ এর লক্ষণগুলি বিকাশ করতে বাধা দিতে পারে কিনা। দ্বিতীয়ত, কোনও রোগীর মধ্যে রোগের গুরুতর লক্ষণগুলি ও মৃত্যু এড়াতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা পরিমাপ করা হবে।

ভারত বায়োটেকের নির্বাহী পরিচালক সাই প্রসাদ গত মাসে বলেছিলেন যে, সংস্থাটি আগামী বছরের জুনের মধ্যে  তার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনটি চালু করার পরিকল্পনা করেছে, যদি না সরকার এর আগে এই ভ্যাকসিনটিকে আগেকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ভিত্তিতে জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কার্যকারিতা তথ্য যদি ইতিবাচক হয় তবে এটি ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে চালু করা হতে পারে। তাহলে এটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের পরে ভারতে চালু হওয়া দ্বিতীয় টিকা হবে।

প্রসাদ জানিয়েছিলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় সংস্থাটি প্রায় ১৫০ কোটি রুপী এবং একটি নতুন প্ল্যান্ট (যা ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে) স্থাপনে আরও ১২০-১৫০ কোটি রুপী ব্যয় করছে। ভারত বায়োটেক তাদের হায়দ্রাবাদ প্ল্যান্টে নিজ দায়িত্বে কিছু ডোজ উৎপাদন করতে শুরু করেছে, যার বর্তমান বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডোজ। নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের পাশাপাশি সংস্থাটি কোভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য তৃতীয় একটি স্থাপনা ব্যবহার করতে চেষ্টা করছে।

“হায়দ্রাবাদে আমাদের প্ল্যান্টের মতো আরেকটি বৃহৎ আকারের প্ল্যান্ট আমরা অন্য শহরেও তৈরির চেষ্টা করছি যেগুলোর (পুরাতন ও নতুন প্ল্যান্ট) মাধ্যমে আমরা কোভ্যাকসিন উৎপাদন বছরে ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়নে উন্নীত করব,” প্রসাদ বলেন।