চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ড ভাবা উচিৎ নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের প্রতি মানবিক আচরণের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতীয় চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়। এটি দেশের বিশেষ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।
রোববার ফার্মগেটের বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার বর্তমান অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ফরিদা আখতার বলেন, চিড়িয়াখানার বর্তমান সংকটের সমাধান কোনো একক ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ একা করতে পারবে না। এ সমস্যাগুলো বহু বছরের; তাই অধিদপ্তর, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের কর্মশালায় অনেক গঠনমূলক প্রস্তাব পাওয়া গেছে, যা হয়তো আলাদা বৈঠকে সম্ভব হতো না। আমরা এমন একটি কমিটি গঠন করবো যেখানে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা থাকবেন। প্রয়োজনে প্রতি মাসে সবাই বসে চিড়িয়াখানার উন্নয়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।
উপদেষ্টা জানান, প্রাণীদের সংরক্ষণ পরিকল্পনা শুধু চিড়িয়াখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তাদের উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানান্তরের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, যেসব প্রাণীর স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে, তাদের রাখার বা স্থানান্তরের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন।
গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাণীদের বাইরে পাঠিয়ে গবেষণা করা যাবে না। গবেষকদের চিড়িয়াখানায় এসে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই গবেষণা করতে হবে।
কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট হলো প্রাণীদের উপযুক্ত পরিবেশে রাখার সুযোগের অভাব, যার মূল কারণ জনবল সংকট। আজকের কর্মশালার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান, এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এ বি এম শহীদ উল্লাহ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ও ব্রিগেডিয়ার তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।














