Genocide : মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করতে চান ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ
- আপডেট সময় : ০৯:১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
ছবি ড. বিরাজলক্ষী ঘোষের সৌজন্যে
বিশেষ প্রতিনিধি
একাত্তরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃত। এই গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নিয়ে বহুসংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভাষার কারণে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা পিছিয়ে রয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা ( Genocide) চালিয়েছে, তা পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যা হিসাবে চিহ্নিত। গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নিয়ে বহুসংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভাষার কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তানি বাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যার ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।
এবারে ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছেপোষণ করেছেন, ভারতের শিক্ষাবিদ, গবেষক ও পরিবেশবিদ ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ। শিক্ষাবিষয়ক ৮০টি গ্রন্থ রয়েছে এই গবেষকের। তার আগ্রহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত বিশ্বনন্দিত একজন নেতার সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিয়ে ইংরেজি ভাষায় বই লেখার।
কলকাতার বিখ্যাত স্কটিশ চার্চ কলেজ-এর অন্যতম কৃতী ছাত্র ছিলেন বীর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সুভাষ চন্দ্র বসু তথা নেতাজী। এই কলেজে বরাবরই বিজ্ঞান বিভাগে সাম্মানিক স্নাতক সেরা ও সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে ‘আলেকজান্ডার ডাফ মেমোরিয়াল মেডেল’ এবং কলা বিভাগের সাম্মানিক স্নাতক স্তরে সেরা ও সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে ‘হকিন্স মেডেল’ দেওয়ার রীতি চালু রয়েছে। এই দুটি মেডেল কলেজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং Prestigious Medel (মর্যাদাপূর্ণ মেডেল) ধরা হয়।
১৯১৯ সালে কলা বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মান লাভ করেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তার প্রায় ৮০ বছর পর ১৯৯৯ সালে সমগ্র কলা বিভাগ তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাম্মানিক স্নাতকের সর্বোচ্চ নম্বরসহ প্রথম শ্রেণী ও প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হবার জন্য বিরল সম্মানে ভূষিত হন ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ। তার সঙ্গে মেলে আরও একটি Prestigious Medel রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ নম্বর পাবার জন্য দীপেন্দ্র নারায়ণ মেডেলসহ ৬টি বুক প্রাইজ। ড. বিরাজলক্ষী ঘোষের বাংলা-ইংরেজি পাঠ্য ও গবেষণা ভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা ৮০টির অধিক। যেখানে বাংলায় রয়েছে প্রায় ২২টি পাঠ্য বই।





















