ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গুলিবিদ্ধ হাদিকে  সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলো   জন্মস্থানে অবহেলিত কিংবদন্তি শহীদ বুদ্ধিজীবী  ডা. ফজলে রাব্বী, নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড, যান চলাচল বন্ধ বিশ্বশান্তি ও মানবিক মূল্যবোধে আপসহীন বাংলাদেশ: তৌহিদ হোসেন হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল প্রসিকিউশনের হাদি প্রসঙ্গে সিইসি: মাঝেমধ্যে দু’একটা খুন-খারাবি হয়, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, হাদিকে নিয়ে দুপুরে সিঙ্গাপুরের পথে রওনা ভারতে পালিয়েছে হাদির হামলাকারী দাউদ খান, পাঠিয়েছে সেলফি, দাবি সায়েরের ‘ইউথ ভোটার’ অনুষ্ঠানে সিইসি: কোনো শঙ্কা নেই, নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ ফের বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

CORONA :  ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে, আশঙ্কা গবেষকদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আরও বাড়বে। মঙ্গলবার চীনে নতুন করে আরও পাঁচজন মারা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ অবস্থায় দেশটির অর্থনীতি ও বাণিজ্যর ওপর এর প্রভাব পড়বে। চীন এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে জোরদারের চেষ্টা করছে’

গবেষণা বলছে, ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে, আশঙ্কা গবেষকদের

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চীনে কয়েক সপ্তাহ মৃত্যুশূন্য থাকার পর সোমবার করোনায় দুজন এবং মঙ্গলবার আরও পাঁচজন মারা গেছে। চীনে ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ২৪২ জন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। বৈশ্বিকভাবে করোনায় মৃত্যুহারের বিবেচনায় এ সংখ্যা খুব কম হলেও সম্প্রতি প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর পর লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি রেখেছিল চীন সরকার। তবে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ৭ ডিসেম্বর করোনার কঠোর বিধিনিষেধগুলোর বেশির ভাগই প্রত্যাহার করে নেয়। এর পর থেকে দেশটিতে আবারও করোনার সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে।

তখন থেকে কিছু হাসপাতাল রোগীতে ভরে গেছে। ওষুধের দোকানগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় চীনে ভাইরাসটির সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে পারে, এমনকি ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (আইএইচএমই) পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আইএইচএমইর পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের ১ এপ্রিলের দিকে চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। বছরের সে সময় পর্যন্ত চীনের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবে। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ছুঁয়ে যাবে।

চলতি ডিসেম্বরে বিক্ষোভের মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। এর পর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছেই। আগামী মাসে চীনে নতুন চান্দ্রবর্ষ উদ্যাপন করা হবে। উৎসবটি ঘিরে দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, চীনের শূন্য করোনা নীতি (জিরো-কোভিড) ভাইরাসটির আগের ধরনগুলো রুখতে হয়তো কার্যকর ছিল। তবে শক্তিশালী অমিক্রন ধরন ঠেকিয়ে রাখা দেশটির জন্য এক প্রকার অসম্ভব হবে।

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেনি চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। দেশটি সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর ভাইরাসটিতে মৃত্যুর খবর সামনে এনেছিল। চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ৫ হাজার ২৩৫।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আসছে জানুয়ারিতে চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তখন দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবেন বয়স্ক ও আগে থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিরা।

ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের দেওয়া তথ্য বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। এই সময়ে দেশটিতে প্রতি ১০ লাখে ৬৮৪জন মানুষ করোনায় মৃত্যু হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

CORONA :  ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে, আশঙ্কা গবেষকদের

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

‘করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আরও বাড়বে। মঙ্গলবার চীনে নতুন করে আরও পাঁচজন মারা গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ অবস্থায় দেশটির অর্থনীতি ও বাণিজ্যর ওপর এর প্রভাব পড়বে। চীন এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে জোরদারের চেষ্টা করছে’

গবেষণা বলছে, ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে, আশঙ্কা গবেষকদের

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চীনে কয়েক সপ্তাহ মৃত্যুশূন্য থাকার পর সোমবার করোনায় দুজন এবং মঙ্গলবার আরও পাঁচজন মারা গেছে। চীনে ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ২৪২ জন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। বৈশ্বিকভাবে করোনায় মৃত্যুহারের বিবেচনায় এ সংখ্যা খুব কম হলেও সম্প্রতি প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর পর লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি রেখেছিল চীন সরকার। তবে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ৭ ডিসেম্বর করোনার কঠোর বিধিনিষেধগুলোর বেশির ভাগই প্রত্যাহার করে নেয়। এর পর থেকে দেশটিতে আবারও করোনার সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে।

তখন থেকে কিছু হাসপাতাল রোগীতে ভরে গেছে। ওষুধের দোকানগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় চীনে ভাইরাসটির সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে পারে, এমনকি ২০২৩ সালে চীনে করোনায় ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (আইএইচএমই) পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আইএইচএমইর পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের ১ এপ্রিলের দিকে চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। বছরের সে সময় পর্যন্ত চীনের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবে। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ছুঁয়ে যাবে।

চলতি ডিসেম্বরে বিক্ষোভের মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। এর পর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছেই। আগামী মাসে চীনে নতুন চান্দ্রবর্ষ উদ্যাপন করা হবে। উৎসবটি ঘিরে দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, চীনের শূন্য করোনা নীতি (জিরো-কোভিড) ভাইরাসটির আগের ধরনগুলো রুখতে হয়তো কার্যকর ছিল। তবে শক্তিশালী অমিক্রন ধরন ঠেকিয়ে রাখা দেশটির জন্য এক প্রকার অসম্ভব হবে।

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেনি চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। দেশটি সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর ভাইরাসটিতে মৃত্যুর খবর সামনে এনেছিল। চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ৫ হাজার ২৩৫।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আসছে জানুয়ারিতে চীনে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তখন দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবেন বয়স্ক ও আগে থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিরা।

ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের দেওয়া তথ্য বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। এই সময়ে দেশটিতে প্রতি ১০ লাখে ৬৮৪জন মানুষ করোনায় মৃত্যু হতে পারে।