গোয়ায় লুথরা ভাইদের ক্লাবে নারীর ওপর হামলার অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
- আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
গোয়ার ভ্যাগেটরের রোমিও লেন নামে পরিচিত একটি সমুদ্রসৈকত ক্লাবকে ঘিরে মারধর ও নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা বৈভব চ্যান্ডেল অভিযোগ করেছেন, ক্লাবের কর্মীরা তার পরিবারকে অপমান, হেনস্তা এবং রড দিয়ে মারধর করেছেন।
ঘটনাটি গত ১ নভেম্বর ঘটলেও সম্প্রতি এফআইআর দায়েরের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
চ্যান্ডেলের বর্ণনায়, সেদিন তিনি ১৩ জন আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে ক্লাবে যান। ক্লাবের নকশা ছিল শ্বাসরোধী একটি প্রবেশ ও একটি প্রস্থান পথ, তাও উচ্চতায়। রাতে ক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় একটি ভারী চেয়ার পথ আটকে রাখায় তার চাচাতো ভাই পা দিয়ে সরিয়ে দিলে কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
ক্লাব ম্যানেজার অভিযুক্তভাবে বলেন, তোমাদের এখানে থাকার মর্যাদা নেই। এরপর তিনি চ্যান্ডেলের চাচাতো ভাইয়ের কলার ধরে নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকেন।
চ্যান্ডেলের অভিযোগ, বাউন্সার ও নিরাপত্তার সদস্যরা তাদের দলবদ্ধভাবে তাড়া করে মারধর করতে থাকে। তার বোনকে বুকে আঘাত করা হয়, ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। প্রস্থানপথে ব্যারিকেড তৈরি করে ক্লাব কর্মীরা তাদের আটকে রাখতে চায়।
চ্যান্ডেলের ভাই ব্যারিকেড সরাতে গেলে এক বাউন্সার রড নিয়ে তাকে আঘাত করে। ভাইকে বাঁচাতে গেলে চ্যান্ডেলকেও চড় মারা হয় এবং তার টি-শার্ট টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়।
ঘটনার পর শারীরিকভাবে আহত হওয়ায় তারা পরদিন থানায় যান। চ্যান্ডেলের বহু চেষ্টায় এফআইআর দায়ের হয়। ক্লাব ম্যানেজার অজয় কবিটকর, কর্মী জুনাইদ আলী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে মালিক গৌরব ও সৌরভ লুথরা-র নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ, কারণ ঘটনার সময় তারা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না।
সম্প্রতি লুথরা ভাইদের আরেকটি ক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন নিহত হয়। এর জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রোমিও লেন সৈকত-ঝুপড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। বৈভব চ্যান্ডেল বলেন, নারী ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে গোয়ায় এ ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।



















