১৪ দিনের লড়াই শেষে পরপারে পারি জমালেন অভিনেত্রী সীমানা

- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রীর। মাত্র ৩৯ বছরেই কর্মময় জীবনের ইতি টেনে পারি জমালেন পরপারে। টানা ১৪ দিন জ্ঞানহারা ছিলেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৬টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে স্বামী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
সীমানার পরিবার জানায়, ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সীমানা। রাতেই তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে জানতে জানা গেল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে হাসপাতাল বদল করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গেল কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসা চলছিলো অভিনেত্রীর। শনিবার একানে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও হয়। এরপর বুধবার বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সীমানার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সীমানা চলে যান না ফেরার দেশে।
সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। পরে নাটকেও অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি। পরে জানা যায়, মা হওয়ার জন্যই এই বিরতি।
দুবার মা হওয়ার কারণে তাঁর এই দীর্ঘ বিরতি। বিরতি ভেঙে গত বছর আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন। সীমানার দুই সন্তান। বড় সন্তান শ্রেষ্ঠর বয়স আট, আর ছোট সন্তান স্বর্গ তিন বছর বয়সী।