ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এই সপ্তাহেই নির্বাচনি তফসিল, ভোটের সময় বাড়ছে এক ঘণ্টা শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনের দাবি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঢাকায় মৈত্রী দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন-সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে তারেকের নেতৃত্বেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি : আমির খসরু গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ আসিম মুনিরের হাতে পাকিস্তানের পরমাণু ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ শীতের মহাজন পঞ্চগড়ে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, দেশে এখনো প্রায় ৩৫ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত, এর মধ্যে লক্ষাধিক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। শ্রম আইন সংশোধনের পরও এসব শিশুর ৯৯ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে বিধায় আইনি সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। তাই শিশুশ্রম প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনী কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এডুকো বাংলাদেশ ও চাইল্ড লেবার ইলিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম (ক্ল্যাপ) আয়োজিত “বাংলাদেশে শিশুশ্রম সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা শক্তিশালীকরণ শীর্ষক নীতি শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এসব মতামত উঠে আসে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক আফজাল কবির খান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুজ্জামান ভুইয়া। তিনি বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে অনানুষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রমের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নেই, অথচ ৯৯ শতাংশ শিশু এই খাতেই কাজ করে। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক উভয় খাতের শিশু শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা জরুরি।

তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরে উন্নীত করা হলেও আইনে সংশোধন না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এই বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের প্রধান কারণ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পরও বহু শিশু জীবিকার তাগিদে শ্রমে যুক্ত হচ্ছে। সরকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেও জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া সাফল্য অর্জন কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে আফজাল কবির খান বলেন, শিশু শ্রমিকরা শোষণ, নির্যাতন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আইন-নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি

আপডেট সময় : ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, দেশে এখনো প্রায় ৩৫ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত, এর মধ্যে লক্ষাধিক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। শ্রম আইন সংশোধনের পরও এসব শিশুর ৯৯ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে বিধায় আইনি সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। তাই শিশুশ্রম প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনী কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এডুকো বাংলাদেশ ও চাইল্ড লেবার ইলিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম (ক্ল্যাপ) আয়োজিত “বাংলাদেশে শিশুশ্রম সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা শক্তিশালীকরণ শীর্ষক নীতি শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এসব মতামত উঠে আসে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক আফজাল কবির খান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুজ্জামান ভুইয়া। তিনি বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে অনানুষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রমের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নেই, অথচ ৯৯ শতাংশ শিশু এই খাতেই কাজ করে। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক উভয় খাতের শিশু শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা জরুরি।

তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরে উন্নীত করা হলেও আইনে সংশোধন না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এই বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের প্রধান কারণ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পরও বহু শিশু জীবিকার তাগিদে শ্রমে যুক্ত হচ্ছে। সরকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেও জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া সাফল্য অর্জন কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে আফজাল কবির খান বলেন, শিশু শ্রমিকরা শোষণ, নির্যাতন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আইন-নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।