শিশুশ্রম নিষিদ্ধে আইন নীতিমালা সংশোধনের দাবি
- আপডেট সময় : ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, দেশে এখনো প্রায় ৩৫ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত, এর মধ্যে লক্ষাধিক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। শ্রম আইন সংশোধনের পরও এসব শিশুর ৯৯ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে বিধায় আইনি সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। তাই শিশুশ্রম প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনী কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এডুকো বাংলাদেশ ও চাইল্ড লেবার ইলিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম (ক্ল্যাপ) আয়োজিত “বাংলাদেশে শিশুশ্রম সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা শক্তিশালীকরণ শীর্ষক নীতি শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এসব মতামত উঠে আসে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক আফজাল কবির খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুজ্জামান ভুইয়া। তিনি বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে অনানুষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রমের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নেই, অথচ ৯৯ শতাংশ শিশু এই খাতেই কাজ করে। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক উভয় খাতের শিশু শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা জরুরি।
তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরে উন্নীত করা হলেও আইনে সংশোধন না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এই বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের প্রধান কারণ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পরও বহু শিশু জীবিকার তাগিদে শ্রমে যুক্ত হচ্ছে। সরকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেও জাতীয় পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া সাফল্য অর্জন কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আফজাল কবির খান বলেন, শিশু শ্রমিকরা শোষণ, নির্যাতন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আইন-নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।



















